ঢাকার নিউ মার্কেট-গাউছিয়ার দোকানি বা ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অপেশাদারমূলক আচরণের অভিযোগ বহু পুরানো। বিশেষ নারী ক্রেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটে। বিষয়টি নিয়ে একই সঙ্গে ক্ষোভ ও সচেতনমূলক বার্তা দিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান। ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে পোস্ট করেন তিনি। তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
বাস শ্রমিক এবং অসাধু ব্যবসায়ী আর তাদের কর্মচারীদের হাতে সত্যিকার অর্থে পুরা দেশটাই জিম্মি। নতুন কিছু না। ঢাকায় আসার পর থেকেই দেখে আসছি নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক যেন মগের মুল্লুক। মনে হবে ভিন্ন দেশ, ভিন্ন শাসনব্যবস্থা। তারা স্বাধীন। ন্যুনতম ভদ্রতা, সামাজিকতা, ন্যায্যতার ধার তারা ধারে না।
কিছু বলতে গেলে আপনি তাৎক্ষণিক সংঘবদ্ধ হামলার স্বীকার হবেন, স্ত্রী পরিবারের সামনে আপনার ইজ্জত পায়ে পিষে ফেলবে।
এই এলাকায় আর্থিক, সামাজিক এবং শারীরিকভাবে সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত হয় আমাদের মা বোনেরা। সব জেনে মেনেই তারা বারবার গাউছিয়া, নিউ মার্কেটেই যায়। নেশার মত। যেতেই হয়।
অথচ ঈদ / পুজার মৌসুমে কোনো ভদ্র মহিলার পক্ষে এক মিনিট অবস্থান করার পরিবেশ ওখানে নাই। আমার পরিবারে আমার পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশনা আছে "প্রয়োজনে তিনগুন দাম দিয়ে বসুন্ধরা বা অন্য কোথাও থেকে কেনাকাটা করতে, সাধ্যে না কুলালে বাসায় বসে থাকতে কিন্তু গাউছিয়া, নিউমার্কেট যাওয়া যাবে না।" কাজ হয় না। সত্যিই কাজ হয় না।৩০০ টাকার জিনিস ৩০০০ হাজার টাকা দাম হাকে আর আমার মা বোনেরা অনেক দরদাম করে ওই জিনিস ১৫০০ টাকায় কিনতে পেরে বিজয়ীর বেশে বাড়ী ফেরে। প্রতিবাদ করার কথা ভুলে যায়।
ওদের একমাত্র শত্রু ঢাকা কলেজের দামাল ছেলেরা। কখনও কখনও এই সাহসী ছেলেরা প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়। ফলাফল, হিংস্র হায়েনার হাতে চরম নির্যাতনের স্বীকার আমার দেশের ভবিষ্যৎ,সোনার ছেলেরা। দোকান শ্রমিক কিংবা বাস শ্রমিকের হাতে আমার সন্তানের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ থাকা খুব কঠিন।সময় এসেছে অসভ্যদের এই অভয়ারণ্য বর্জন করার।
একুশে সংবাদ/ম.ম.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :