পুরুষ শাসিত এই সমাজের একটি ব্যাধি নারী নির্যাতন। সমাজ সভ্যতা যতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, ততোই যেন এই প্রবণতা বেড়ে চলেছে। মানুষ যতোই সচেতন হচ্ছে, ততোই যেন নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে তাদের অজ্ঞতাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে উদাসীনতা।
নারী একটি রাষ্ট্রের শক্তি। কিন্তু দিনদিন এ শক্তির অবমাননা করা হচ্ছে নারী নির্যাতন বা নারী সহিংসতার মাধ্যমে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্র কর্তৃক কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
এছাড়াও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্যক্তিগত,পারিবারিক এবং সামাজিক উদ্যোগকেও সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজের নারীরা বিভিন্নভাবে সহিংসতা বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
দেখা যায় সমাজের শিক্ষিত সচেতন ও প্রভাবশালী মানুষের দ্বারাই নারী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বেশি। তার চিত্র সম্প্রতি আমরা দেখতে পেয়েছি।
নারীরা ঘরে বাইরে,যেকোনো জায়গায় নির্যাতন ও ধর্ষনের শিকার হচ্ছেন। কোথাও তারা নিরাপত্তা বোধ করছেন না। তাছাড়া বর্তমানে নারীর প্রতি সহিংসতা আমাদের দেশের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এর দায় রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসনকে নিতে হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় শুধু একটি সংখ্যা হয়ে যায়। যা পরিবারের কাছে ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত সমস্যা হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন আইনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও সঠিক বিচার পায়না নির্যাতিত নারী। বরং উল্টো সমাজের ভিন্ন চোখের চাহুনি এবং অবহেলায় নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে আইনের ফাঁক ফোঁকর গলে বেড়িয়ে রাজত্ব করে নির্যাতনকারী। আর দীর্ঘদিন ধরে নারীর প্রতি সহিংসতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির প্রধান কারণ এটি।
নারীর প্রতি এই অসম্মান, অবমাননা এবং সহিংসতা যেনো আর না হয় তারজন্য যতদ্রুত সম্ভব যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ থেকেও নারীর সম্মান, নারী নিরাপত্তা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে গুরু দায়িত্ব বা প্রধান দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই যতদ্রুত সম্ভব কঠোর আইন ব্যবস্থা প্রণয়ন ও কার্যকর প্রয়োগ করে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতাকারীকে কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমেই নারী নির্যাতন বা নারী সহিংসতা হ্রাস পাবে।
লেখক : শিক্ষার্থী সুমাইয়া হৃদি,ইডেন কলেজ।
আপনার মতামত লিখুন :