বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা পাওয়া গেছে, সুতারং সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি করা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’ ও দুটি জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড বা অন্যকোনো মারণাস্ত্র আছে কি না তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হবে।
‘জিয়াউর রহমানের স্কাল্পচারের (ভাস্কর্য) যে ফাউন্ডেশন সেটার নিচে কোনো কিছু লুকিয়ে রেখেছে কিনা, সেটা দেখতে হলে তো আয়না ভাঙতেই হবে। এ ছাড়া তো কোনো উপায় নেই’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে এবং সেই তল্লাশিকে তারা (বিএনপি) যেভাবে অতিরঞ্জিত করে বলছে। আসলে ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচণ্ড ফ্লপ করেছে। যে হাঁকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ করেছে বিএনপি, তা-ও একটি গরুর হাটের ময়দানে। তো সেই কারণে মুখ রক্ষার জন্য এখন নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে তারা।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্কুলজীবনে কেউ কেউ ছিলেন যারা হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সময়ও বই পড়ত, আর তারা যাতে পড়ে না যায়, আমাদের সেই পাহারা দিতে হতো। এখন তা কল্পনাও করা যায় না। আসলে সেই সময়টা ফিরে আসলেই ভালো হয়।’
সামাজিকমাধ্যমের কুফল বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, আগে ট্রেনে-বাসে মানুষ বই পড়তেন কিন্তু এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। সামাজিকমাধ্যমে আসক্তি এ জন্য দায়ী। সামাজিকমাধ্যম মানুষের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যোগাযোগের দুয়ার অবারিত করে দিয়েছে। কিন্তু যেকোনো জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি সবার জন্য ক্ষতিকর।
একুশে সংবাদ.কম/আ.জা.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :