ইতিহাস থেকে এরশাদের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে: কাজী মামুন

দলীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীই পল্লীবন্ধুকে ২৭ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন বলে উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ বলেছেন, রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইতিহাসের পাতা থেকে এরশাদের নাম মুছে ফেলার মিশনে নেমেছে জাতীয় পার্টিরই এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী। তারা পল্লীবন্ধু উপাধি ঢেকে দিতে জাতীয় পার্টিতে জনবন্ধু শব্দের আর্বিভাব ঘটিয়েছেন। 

এরশাদের ৪র্থ মৃত্যবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সোমবার পহেলা মে বিকেলে রাজধানীর পল্টনে একটি রেস্তোরায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভা তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, মনে রাখা উচিত পল্লীবন্ধৃ স্বস্বীকৃত উপাধি নয়। লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতিতে নড়াইলের কৃষক সমাবেশে বিশ্ব বরন্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান রাষ্ট্রপতি এরশাদকে পল্লীবন্ধু উপাধি দিয়ে গেছেন। 

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু বলেন, জামাত-বিএনপির পরাজিত শত্রুরা এখন জাতীয় পার্টির অন্দরমহলে ডুকে পড়েছে। তাদের নীল নকশা অনুযায়ী চলছে ষড়যন্ত্র। পল্লীবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকদের সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে টিটু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত চক্র জাতীয় পার্টির আদর্শ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। তারা জাতীয় পার্টির জন্য নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। 

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফেরদৌস করিম মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কুদুস মানিক, ইঞ্জিনিয়ার এমএসএইচ সাইফুল ইসলাম, মো. শিপন তালুকদার বাঘা, নওগা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. তোফাজ্জেল হোসেন, নওগা জেলা কৃষক পার্টির সাধারন সম্পাদক ছায়েদুল ইসলাম দুলু, নওগা জেলা জাপা নেতা আব্দুল বারী, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, ও শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। 

আব্দুল কুদুস মানিকের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, জাপা নেতা ইদ্রিস আলী, শরিফুল হাবিব, শরিফুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম দুলু, মো. সৈয়দ আহমেদ, মো. আল আমিন, শামসুল হক মিলন, কেএম রেজা, মো. নজরুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার খান, মিলন মল্লিক, চান মোহাম্মদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ সেলিম, মো. জয়নাল আবেদিন, আলমগীর হোসেন চৌধুরী, মো. ফিরোজ আলম, মো. রাজ আহমেদ ও মো. ফারহান প্রমূখ।

একুশে সংবাদ.কম/এসএপি