বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে সাবধান হতে বলেছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপি। নিক্সন চৌধুরীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘ভয় পাই না।’
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এর আগে, সোমবার (৩১) ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বাষিকী সম্মেলনে শামা ওবায়েদকে ইঙ্গিত করে মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আপনি একজন নারী। আপনার বাবা (বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান) একজন বড় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। আপনি তার মেয়ে। ছোট মুখে বড় কথা বলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে খারাপ ভাষায় মন্তব্য করেন, তুই তোকারি সম্বোধন করেন। সাবধান হয়ে যান। ফের এসব ভাষায় কথা বললে আপনাকে ফরিদপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে।’
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শামা ওবায়েদ বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরীর অকথ্য ভাষায় শামা ওবায়েদ ভয় পায় না। গণতন্ত্রের স্বার্থে যতবার হুংকার ছাড়তে হয়, ততবার হুংকার ছেড়ে যাবো। এ রকম কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা আমার পছন্দ নয়।’
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘ওনার (নিক্সন চৌধুরীর) প্রার্থী যখন জেলা পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়ান, তার পক্ষে তদবির করতে উনি শামা ওবায়েদকে ফোন দেন। ওনার নির্বাচনের সময় উনি আমাকে ফোন করছেন। এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভাষা শুধু দল ও নেত্রীকে খুশি করার জন্য দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেন, শামা ওবায়েদ তা আশা করে না। বেয়াদব কে বাংলাদেশে, কোন দল বেয়াদব, সে কথা বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে জানে।’
দক্ষিণবঙ্গে শামা ওবায়েদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নিক্সন চৌধুরী কে, প্রশ্ন রেখে শামা বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গে ১৯৭১ সালে আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত করেছিলেন। তিনি এ দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে, এ দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে, এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে, বহুবার হুংকার ছেড়েছেন। ওনার সন্তান হিসেবে এ দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য শুধু একবার কেন, যদি এক শ বার হুংকার ছাড়তে হয়, শামা ওবায়েদ সেটা ছাড়বে।’
একুশে সংবাদ/ই/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :