বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে সতর্কতা জারি করেছে সেটা তাদের নিজস্ব বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশকে ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কেউ হয়তো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেয় এবং এসব হয়তো সে উদ্যোগেরই অংশবিশেষ।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একটি মিউজিক ভিডিওর প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ভ্রমণ বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করেছে; এটা তাদের বিষয়। তারা সমসাময়িক বিভিন্ন দেশে এমন ভ্রমণ সতর্কতা তাদের নাগরিকদের জন্য জারি করে। কারণ তাদের নাগরিকদের দায়বদ্ধতা নিতে চায় না। যদি কোনো অঘটন ঘটে, যেন কেউ দোষী করতে না পারে। এটা তাদের বিষয়, এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ খুব শান্তিপ্রিয়। আমাদের দেশের রাস্তাঘাটে কাউকে গুলি করে মারা হয় না। অনুষ্ঠানে, শপিংমলে, রেস্তোরাঁ বা স্কুলে কাউকে গুলি করে মারা হয় না। আমরা খুব শান্তিপ্রিয় দেশ। এ ধরনের উদাহরণ খুব কম দেশেই আছে। সুতরাং এখানে কারও কোনো ভয়ের কারণ নেই। বরং আমাদের দেশের নাগরিকরা যখন অন্যান্য দেশে যায়, কখনো কখনো সেখানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আমাদের দেশে যারা আছে, আমরা তাদের সেফটি ও সিকিউরিটি (সুরক্ষা ও নিরাপত্তা) নিশ্চিত করছি এবং করবো। আমাদের এখানে এ ধরনের অঘটন কখনো হয় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ হয়তো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেয় এবং এসব (ভ্রমণ সতর্কতা) হয়তো সেসব উদ্যোগেরই এক-একটি অংশ বিশেষ। সুতরাং এসব ভুলে যান। ওরা কী বললো না বললো সেটা তাদের বিষয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। হালনাগাদ করা ২ মাত্রার ওই ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গোষ্ঠীগত সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা, অপহরণসহ নিরাপত্তাজনিত অন্যান্য ঝুঁকি থাকার কথা উল্লেখ করে সেখানে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য (৩ মাত্রার সতর্কতা) নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা নির্বাচনের খেলা। ইউরোপীয়রা বলছে তাদের টাকা নেই। পর্যবেক্ষক আনলে আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে। গতবার তারা এসেছিল ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক। আমরা এত মানুষকে আনতে পারবো না। আমরা জনগণের প্রতি আস্থা রাখি। এজন্য কারও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।
একুশে সংবাদ/বিএইচ/না.স
আপনার মতামত লিখুন :