বিএনপি-জামায়াত যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন আইনের শাসনের ‘অ’ও ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের মহাসমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করেন। তিনি এই বিচারকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়। এরপর আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করার ঘৃণ্য হস্তক্ষেপ দেখতে পেয়েছি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আবারও শেখ হাসিনা এই বিচারের দায়িত্ব পান। সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিনি সেটা শেষ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারের আমলে মামলাজট নিরসনের চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মামলাজট কমানোর উদ্যোগ নেয়।
এর আগে, বেলা ১১টায় বার কাউন্সিলের ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটিতে চারটি লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পুরুষ-নারী-প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় নির্মাত ভবনটিতে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দুটি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, এক্সিবিশন স্পেস, রিসিপশন, রেজিস্ট্রেশন রুম, ব্যাংক, অ্যাকাউন্টস সেকশন, আইটি সেকশন ইত্যাদি রয়েছে। আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কক্ষ, পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, সুপরিসর মাল্টিপারপাস হল, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজ কক্ষ রয়েছে।
এ ছাড়া টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রকল্পে আরবরিকালচারের মাধ্যমে ল্যান্ডস্কেপিং করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাবস্টেশন ও জেনারেটরের মাধ্যমে পৃথক বৈদ্যুতিক লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :