চলমান হরতাল-অবরোধ বন্ধে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বিবাদী করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মো. মিরাজুল ইসলাম।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রেজিস্ট্রার ও ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান তিনি।
এতে বলা হয়, আপনাকে (রুহুল কবির রিজভী) এ মর্মে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে যে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আপনি আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে হরতাল-অবরোধ ঘোষণা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছেন। আপনার কর্মসূচির সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।
‘প্রতি সপ্তাহে রোববার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ দেওয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ নিতে আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় আছে। তাই আপনি (রিজভী) নোটিশ গ্রহীতা হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করবেন।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে পরে বিএনপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসব অগ্নিসংযোগে ৯৪টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস, দুটি প্রাইভেটকার, আটটি মোটরসাইকেল, ১৩টি ট্রাক, আটটি কাভার্ডভ্যান, একটি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি পিকআপ, দুটি সিএনজি, একটি নছিমন, একটি লেগুনা, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী একটি গাড়ি, পুলিশের একটি গাড়ি, বিএনপির পাঁচটি অফিস, আওয়ামী লীগের একটি অফিস, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, দুটি বিদ্যুৎ অফিস, একটি বাস কাউন্টার ও দুটি শোরুম পুড়ে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :