অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিজনেস আই রাউন্ডটেবিল: ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ চেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশ অর্থনীতিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এর পেছনে রয়েছে উন্নয়নের শক্তি। এই উন্নয়নকে আগামী দিনেও আমরা অব্যাহত রাখতে পারব। বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে। তিনি বাংলাদেশের আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছেন।
আতিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেছেন। তিনি তরুণদের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তরুণদের কর্মোপযোগী প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলেছেন। যেন গ্রামেই এই তরুণদের কর্মসংস্থান হয়। তাদের যেন কর্মসংস্থানের জন্য আর শহরে আসতে না হয়।
তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য যে ধরনের কাঠামো প্রয়োজন তা বাংলাদেশে তৈরি হয়ে গেছে। দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টরে এখন মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। এতেই বোঝা যায় দেশের অর্থনীতি গতিশীল এবং তা কতটা শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আতিউর রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। প্রয়োজনে করখেলাপি ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তাদের জেলে পুরবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিজনেস আইর সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ড. খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :