জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং তাদের আটক নেতা-কর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পল্লবীর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো মানুষের মনে দাউদাউ করে জ্বলে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষে কোনোদিনও ভোট দেবে না। সে অপরাধবোধ থেকে ভোট চাইতে মানুষের সামনে যেতে ভয় পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
পরশ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায়, যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। তাতে প্রথমে ছিল, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সেই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের তাগাদা দিচ্ছেন, কাজের তদারকি করছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর আস্থা রাখতে হবে। অচিরেই সংকট সমাধান করব।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যখনই মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে, আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেও এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে। একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :