বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনীতি মানেই জনসেবা। নিজের জীবনের জন্য নয়। কিন্তু আজকে রাজনীতি হয়ে গেছে ট্রেডিংয়ের মতো। যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশে করেছিল। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে কেন? তারা ব্যবসা করছে। লুট করছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীতে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের দেশের টাকা হ্যাক হয়ে যায় কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে না। পাশের দেশে খবর প্রকাশের পর জানতে হচ্ছে। তবে টাকা যে হ্যাক হয়েছে সেটা তাদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক কী নিষিদ্ধ পল্লী? সেখানে সাংবাদিকদের কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না?

গয়েশ্বর বলেন, ‘সাংবাদিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও তাদের জন্য নামব। কারণ সাংবাদিক কোনো দলের জন্য নয়। আজকে সাগর-রুনির মামলার রায় ১০৯ বার পেছানো হয়েছে। এটা তো আরও পেছাবে তা প্রক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন দূরদর্শী নেতা। তাকে ইরাক-ইরান যুদ্ধ নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সার্ক গঠন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশাত্মবোধ তো এমনিতে আসে না। জিয়াউর রহমানের কমিটমেন্ট ছিল বলেই দেশবাসী তাকে অনুসরণ করে। আজকে দেশের স্বার্থে আমাদের আরও লড়াই করতে হবে। যেই লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু আমরা এখনও পাইনি।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও জিয়া মঞ্চের সভাপতি মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা