ভারতের সঙ্গে চুক্তি-সমঝোতাকে দেশের স্বার্থবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই দিল্লির অধীনতা-বশ্যতা মানেনি, ভবিষ্যতেও মানবে না। বুধবার ৩ জুলাই দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ দুই সরকারের সমঝোতার উদ্যোগ অসম এবং দেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি এটি।’
বিএনপির শাসনামলে কোনো ট্রানজিট আদায় করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশ এবং জনগণের প্রতি তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে। অভিন্ন নদীর পানি, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যিক ভারসাম্যসহ নানা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয় তারা। ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের বুক চিরে রেললাইন স্থাপন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জনগণের স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করার শামিল।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লুটপাটের সরকার যে অনিয়ম, অপচয় এবং মহাদুর্নীতিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্পেটের তলায় ঢেকে রাখে, সেই কমিশনারদের দ্বারা পুলিশ এবং সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।’
‘পর্দাকাণ্ড, বালিশকাণ্ড থেকে শুরু করে মতিউর কাণ্ড পর্যন্ত অসংখ্য কাণ্ড-কারখানা এবং পাচারকৃত লুটের টাকার অনুসন্ধানে উদাসীনতা দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণ দেখে আসছে। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন ‘রিপ ভ্যান উইংক্যাল’-এর মতো ঘুমিয়ে থেকেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ঢা.টা./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :