নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলতে পারছে না। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নই। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলতে পারছে না। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়। আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়।
মান্না আরও বলেন, কেউ বলছে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, কেউ বলছে আগে নির্বাচন। সংস্কার শেষ করে ভোট-এ কথার ভিত্তি নেই। ভোট হবে সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তাদের (সরকারকে) মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেকে ধরেই নিয়েছে এ সরকারের সময় সব কিছু করা যাবে। সব দাবি নিয়ে আসছে। তারা তো সবকিছু করতে পারবে না। সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। দেশ একটা স্বৈরাচারের অধীনে ছিল, সেখান থেকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসা সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যা করেছে, তিনি ( সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছিলেন তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি কোনো কিছুরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলা যায় না। এখন অনেকে বলছে, এখানে কিছু ভুল ছিল। কেউ বলছে একটা বিপ্লবী সরকার গঠনের উচিত ছিল। এতে সন্দেহ নেই যে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা কঠিন লড়াই করেছে, সেখানে বিপ্লবী চেতনা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :