নিউইয়র্কে গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার দুপুর দেরটায়  নিউইয়র্ক জ্যাকসন হাইটসের মুনু লাইট রেস্টুরেন্টে গোপালগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন আমেরিকা ইন্কা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দুই আড়াই বছর করোনার কারণে আমরা ঘর বন্দী ছিলাম। করোনা মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এ ভাইরাস ব্যবস্থাপনায় দক্ষিন এশিয়ায় প্রথম ও সারা বিশ্বে ৫ম স্থানে অবস্থান করে বাংলাদেশ।

করোনা মোকাবিলায় দিন রাত পরিশ্রম করেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। এতে ২০০ জন চিকিৎসক শহীদ হয়েছেন।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৯ তম জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা ৭৭তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাষণ প্রদান করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে কী ছিল না।সব ছিল এই, ঐতিহাসিক ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কথাও ছিল।

তিনি বলেন, করোনায় বাংলাদেশর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভাল থাকার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত।সব বন্ধ করলেও  গার্মেন্টস খাতকে তিনি সচল রাখার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করেছেন।যার ফলে করোনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভাল ছিল।

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও আমরা  ভাল করেছি। রেমডিসির মত ওষুধও বাংলাদেশে উৎপাদন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৫১টি দেশে ওষুধ করা হচ্ছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমি কোন রিফুজি চাই না।আমি  ও আমার বোন শরণার্থী ছিলাম। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার জননেত্রী  শেখ হাসিনার মত মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেন আর কাউকেও যেতে না হয় সেটিও ভাষণে উল্লেখ করেন। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করে বিশ্ব শান্তি কামনা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ২৬ মিনিটের ভাষণে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গোপালগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন আমেরিকা ইন্কার সভাপতি  মোল্ল্যা এমএ মাসুদ ও সঞ্চালনায় এসএম আবুল হাসান?

একুশে সংবাদ.কম/জ.র.জা.হা