যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানী মালের রোড সিক্সটি সিক্স রেস্টুরেন্টে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মালদ্বীপ আওয়ামিলীগ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
একুশের প্রভাতফেরিতে মালদ্বীপ শাখা আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা সহ দেশটিতে বসবাসরত সুহৃদ এবং প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাতে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সকল নেতাকর্মীরা।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ শাখা আওয়ামিলীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাতবর ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এর সিও এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক মানি ট্রান্সপার প্রাইভেট লিমিটেডের লোকাল ডিরেক্টর হান্নান খান কবির, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সংগঠনটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান, দলটির সিসহ-সভাপতি হাজী সাদেক, শাহ্ জালাল শিকদার, ফায়জুর রহমান, মনির হোসেন, নুর আলম ভুঞাঁ, ফুড এন্ড ফুডসের সিও ও যুগ্ম সম্পাদক নুরে আলম রিন্টু, আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক আনিসুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, মো. সোহেল, গাজী জাহিদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলাল মাতবর গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর ভাষা সৈনিকদের। এরপর তিনি বলেন, ভাষার ঐক্য, সম্প্রীতি, ভাষার মৌলিক অধিকার শিক্ষা, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ এবং সর্বোপরি মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসা এই দিকগুলির প্রতি নজর রাখার সময় এসেছে-কারণ, বিশ্বের প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ আনুমানিক ৬০০০ ভাষায় কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, কমবেশি অসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, বিহার, ঝাড়খন্ড ও ওড়িশারাজ্য, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলের রোহিঙ্গারাও বাংলা ভাষায় কথা বলেন। আবার, আফ্রিকার সিয়েরালিয়েনে বাংলা হল দ্বিতীয় সরকারী ভাষা। তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্য এই নয় যে, অন্য ভাষাভাষীদের কাছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব বা প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। পরিবর্তে শুধু এই বিষয়টার প্রতি নজর দেওয়া যে, বিভিন্ন ভাষাভাষী যত মাতৃভাষা রয়েছে সেগুলির গুণমান ও উৎকর্ষ তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ। এই ভাষাতেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছেন দুই দেশের ভারত ও বাংলাদেশের দুই জাতীয় সংগীত, "জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে...." আর "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি..."।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :