বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, হংকংয়ের আয়োজনে কন্স্যুলেট প্রাঙ্গণে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গতকাল ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কন্স্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেয়।
হংকংয়ের বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনসাল মো. কামরুল হাসান।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে দিবসটির ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।
কনসাল জেনারেল ইসরাত আরা বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করেন।
ইসরাত আরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ-এর কালোরাতের সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিশেষত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টার বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “সোনার বাংলার” স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ এবং ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :