শেষ হলো কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস ক্রাউন প্লাজায় "বাংলাদেশ ট্রেড ফেয়ার কাতার-২০২৪"। ৩ দিনের এ মেলার আয়োজন করে রিলায়েন্ট ইভেন্টস এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট এবং বাংলা ইভেন্ট ইন্টারন্যাশনাল।
‘রিল্যায়েন্ট টক’-এর প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আসা ৪টি কোম্পানির মালিকসহ উপস্থিত ছিলেন- কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। সঞ্চালক ছিলেন রিল্যায়েন্ট ইভেন্টস এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্টের সিইও। আবাসন খাতে প্রবাসী বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। দর্শকদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে আলোচকগণ এই খাতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জমি বা ফ্লাট বিনিয়োগের পূর্ব এবং পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্রেড ফেয়ার কাতার-২০২৪ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশের অর্জন বিদেশের মাটিতে প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করতে এ ধরনের আয়োজন।’ তিনি ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথাও ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ট্রেড ফেয়ার কাতার ২০২৪– সমাপনী অনুষ্ঠানে মোট বিক্রি পরিমাণ (৩৮ কোটি টাকা), বুকিং সংখ্যা-৭৬৫, মোট সম্ভাব্য গ্রাহকের সংখ্যা-১১৪৩ জন এবং সার্বিকভাবে ২০০০ কোটি টাকা মূল্যের বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে মর্মে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘বেস্টসেলার’-এর নাম ঘোষণা করেন। এবং সনদপ্রত্র ও উপহার তুলে দেন।
রিল্যায়েন্ট ইভেন্টস এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্টের সিইও এমএ মুরাদ হোসেইন বলেন- ‘বাংলাদেশে রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে এমন আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি সকলকে সচেতন হয়ে বিনিয়োগের অনুরোধ করেন। কেউ যেন প্রতারিত না হয়। জনাব মুরাদ মেলা সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় আগত দর্শনার্থী, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সকল মিডিয়াকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ হতে আগত মেলায় অংশগ্রহণকারী সংস্থার সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, কাতারস্থ অন্যান্য দেশের কমিউনিটির সদস্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৩ দিনের এই ট্রেড ফেয়ারে শেষে বাংলাদশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশি শিল্পীদের অংগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
একুশে সংবাদ/সা.ডা./বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :