রোজা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুসলিমদের উপর ফরজ। রোজাকে যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে সে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। শরীয়তের দৃষ্টিতে ইসলামের প্রধান বিধান রোজা অস্বীকার করা ব্যক্তিকে কাফের ও মুরতাদ বলে গণ্য করা হয়। তাই গুরুত্বসহ রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আবশ্যকীয়।
রোজা রাখার পাশাপাশি রোজা ভঙ্গের কারণগুলো জানা জরুরি। অন্যথায় সারাদিন রোজা রেখে শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকা হবে কিন্তু মূলত রোজা পালন হবে না, তাই এসব জেনে রাখা জরুরি। আবার এমন অনেক কারণ আছে যেগুলোকে ব্যাহিকভাবে রোজা ভঙ্গের কারণ মনে হলেও এর মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গে না। এমন একটি বিষয় হলো কফ গিলে ফেলা।
আলেমরা বলেন, রোজাদার ও বে-রোজাদার উভয়ের জন্যে কফ গিলে ফেলা নাজায়েয। কেননা কফ ঘৃণিত জিনিস। হতে পারে কফের মধ্যে এমন কিছু রোগ রয়েছে যা শরীর থেকে নিঃসরিত হয়েছিল। কিন্তু কফ গিলে ফেললে রোজা ভাঙবে না। কারণ, কফ মুখ থেকে বের হয়নি। কফ গিলে ফেলাটা পানাহার হিসেবে গণ্য হয় না। তাই কফ মুখে চলে আসার পর গিলে ফেললে এতে করে রোযা ভাঙ্গবে না। (আল-শারহুল মুমতি; শাইখ উছাইমিন : ৬/৪২৮)
এছাড়াও কফ গিলে ফেললেও রোজা নষ্ট না হওয়ার কারণ হলো- কফ মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোজা নষ্ট হয় না। সুতরাং কফ গিলে ফেলার কারণেও রোজা ভেঙে যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে রিয়াজুল উলুম : ৩/৩০৩; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৩/৪০৩)
একুশে সংবাদ.কম/ঢা/সম
আপনার মতামত লিখুন :