AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কেমন হবে!


Ekushey Sangbad
ধর্ম ডেস্ক
১০:২৩ এএম, ১৫ জুলাই, ২০২৩
বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কেমন হবে!

আমৃত্যু এক ছাদের নিচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ে শুধু কিছুদিন এবং কয়েক বছরের উপভোগের বিষয় নয়। পরস্পর বোঝাপড়া ও শারীরিক সক্ষমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকে দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে। তাই কাছাকাছি বয়স বা সামান্য ব্যবধান দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনের জন্য অনুকূল।

 

তবে বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর সমবয়সী হওয়া কিংবা বয়সের তারতম্য থাকার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ইসলামে। শরিয়তে বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সে তারতম্য, কম বেশি হওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ নয়।

 


মূলত বিয়েতে বয়সের বিষয়টি নির্ভর করে বাস্তবতা, সমাজ, সংস্কৃতি ও পরস্পর বোঝাপড়ার ওপর। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রথমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) রাসুল (সা.)-এর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, খাদিজা (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চেয়ে ১৫ বছরের বড়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বয়স ছিল তখন ২৫ বছর। ওই সময় খাদিজা (রা.)-এর বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। (ইবনে হিশাম ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯-১৯০; ফিকহুস সিরাহ, পৃষ্ঠা ৫৯)

 

আর রাসুল (সা.) যখন তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করেন, তখন তাঁদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৫৩ ও ৯। যদিও বিবাহ আরো আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 

তবে বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বয়সে ভারসাম্য রক্ষা করা উচিত। কারণ, বয়স স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আচরণগত (স্বভাব ও দৈহিক) বিষয়ে প্রভাব রাখে। এ ক্ষেত্রে কোরআনের সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও ইঙ্গিত আছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং (জান্নাতে) তাদের পাশে থাকবে সমবয়সী আয়তনয়না (জান্নাতি রমণী)।’ (সুরা : সাদ, আয়াত : ৫২)

 


অন্য আয়াতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি জান্নাতি রমণীদের উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের করেছি চিরকুমারী, সোহাগিনী, সমবয়স্কা।’ (সুরা : ওয়াকিয়া, আয়াত : ৩৫-৩৮)

 

সুতরাং স্বামী-স্ত্রীর বয়স কাছাকাছি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

 

বয়সের বেশি ব্যবধানে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই প্রয়োজন ভারসাম্য। ফাতেমা (রা.)-কে বিয়ে করার প্রস্তাব সর্বপ্রথম আবু বকর (রা.) দেন। অতঃপর ওমর (রা.) প্রস্তাব দেন। উদ্দেশ্য ছিল—তারা রাসুল (সা.)-এর জামাতা হওয়ার সম্মান অর্জন করবেন। রাসুল (সা.) বলেন, সে (ফাতেমা (রা.) অনেক ছোট। তাদের বয়স অনেক বেশি ছিল। রাসুল (সা.) বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন।

 

এতে বোঝা যায়, মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স অতিরিক্ত বেশি হওয়া উচিত নয়। বয়সের বেশি অসমতায় বিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। (ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা লিফাতিমাতা মিনাল মানাকিবি ওয়াল ফাদাইল, পৃষ্ঠা : ৩৪-৩৬)

 

একুশে সংবাদ/স ক  

Link copied!