তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি জনজীবনের গতিপথকে পাল্টে দিয়েছে। মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। অসম্ভব জিনিসকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এর ফলে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে।সাধারণ মানুষের জীবনও এসব প্রযুক্তির সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এই তথ্য-প্রযুক্তিকে অনেক কল্যাণকর কাজে অনেকেই ব্যবহার করছেন। এর মাঝে একটি মোবাইলের মাধ্যমে কোরআন থেকে উপকৃত হওয়া।
বর্তমানে মানুষজন প্রায় সবসময় নিজের সঙ্গে মোবাইল বহন করেন। মোবাইল অ্যাপসে অনেকেই কোরআন তিলাওয়াত করেন। এতে আলাদা করে কোরআন বহন করতে হয় না। যাত্রাপথে, যেকোনো জায়গায় চাইলে অ্যাপস থেকে দেখে কোরআন তিলাওয়াত করা যায়, আবার প্রয়োজনে অ্যাপস বন্ধ করে রেখে দেওয়া যায়।
মোবাইল নিয়ে সব জায়গায় আসা-যাওয়া করা হয়। অনেকে টয়লেটেও যান। মোবাইলে কোরআনের অ্যাপস থাকা অবস্থায় টয়লেটে গেলে খেয়াল রাখতে হবে, কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম বা জিকির লিখিত কোনো অংশ বা বস্তু যেন দৃশ্যমান না থাকে। কারণ. আয়াত বোঝা যায়- এমন অবস্থায় টয়লেটে মোবাইল নিয়ে যাওয়া জায়েজ নয়। কিন্তু পকেটে থাকলে, বা মোবাইলের স্ক্রিনে আয়াত দেখা না গেলে এবং আয়াত আবৃত থাকলে টয়লেটে প্রবেশ করা যাবে, নাজায়েজ হবে না।
আলেমদের মতে, টয়লেট অপবিত্র ও দুর্গন্ধযুক্ত স্থান। তাই কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম বা জিকির লিখিত কপি এবং এ জাতীয় অ্যাপস আবৃত হলে তা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ নাজায়েজ নয়। তবে এমন তা নিয়ে প্রবেশ না করাই কর্তব্য। কেননা এটা কোরআনের সম্মান ও আদব পরিপন্থী। সুতরাং মোবাইলে কোরআনের অ্যাপস থাকলে উত্তম হচ্ছে, মোবাইল রেখে টয়লেটে যাওয়া।।
আলেমরা বলেন, আল্লাহ তায়ালার কালামের সম্মান না করা আমাদের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। আল্লাহর কালামের সম্মান করা মানে স্বয়ং আল্লাহকে সম্মান করার নামান্তর। তিনি আমাদের উত্তম অভিভাবক, সুতরাং তার কালামের সম্মান করা বান্দা হিসেবে আমাদের ওপর কর্তব্য।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :