AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাড়েনি আয়, নিম্নআয়ের মানুষের মাংস কেনা দায়


Ekushey Sangbad
মুহাম্মদ আসাদ
০৪:৪৫ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩
বাড়েনি আয়, নিম্নআয়ের মানুষের মাংস কেনা দায়

রোজা ঘিরে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে দাম। সরবরাহ ঠিক থাকলেও ইফতার ও সেহরিতে চাহিদা বাড়ায় প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় ও খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাংস কিনে নিম্নবিত্তের পাতে তোলা যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আয়ের তুলনায় ব্যয় বাড়ায় পণ্যটি কিনতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। ইচ্ছা থাকলেও বাজারের তালিকা থেকে অনেকে তা কেনা বাদ দিচ্ছেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, নয়াবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কার উদাসীনতায় মাংসের দাম ৬৫০ টাকা?

এদিকে রোজা শুরুর এক মাস আগেই খুচরা বাজারে কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকায়। পাশাপাশি রোজা ঘিরে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১২০ টাকা বাড়িয়ে ২৬০-২৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে। তবে চাপের মুখে গত তিন দিনে দাম কমিয়ে ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বৃহস্পতিবারের পণ্য মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রোজা ঘিরে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, খাসির মাংস ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও ব্রয়লার মুরগি ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

কাপ্তান বাজারে মাংস কিনতে আসা দিনমজুর মো. সুলতান বলেন, বাসায় রোজার শুরু থেকেই ছেলেমেয়েরা গরুর মাংস খেতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের বায়না রাখার সামর্থ্য আমার নেই। কারণ দিনে ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম হয়। সে টাকা দিয়ে ৭৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কেনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ছেলেমেয়েদের বুঝিয়ে রাখতে হচ্ছে। বাবা হিসাবে এর চেয়ে আর কষ্টের কিছু নেই।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা সাহেরা খাতুন বলেন, গরুর মাংসের যে দাম তাই কেনা সম্ভব নয়। ছেলেমেয়েরা বায়না করেছে সেহরিতে গরুর মাংস খাবে। বাড়তি দামের জন্য কিনতে পারিনি। ব্রয়লার মুরগি নিয়ে বাড়ি ফিরছি। তবে এ পণ্যের দামও গত বছরের তুলনায় অনেক। বাজারে সব আছে, তবে দাম বেশি। রোজা ঘিরে এমনটা করা হয়েছে। দেখার কেউ নেই।

 

একই বাজারে ব্যবসায়ী মাঈনু বলেন, আগে রোজায় বাজারে এলে ২-৩ কেজি গরুর মাংস কেনা হতো। এবার কেজি ৭৫০ টাকা। তাই এক কেজি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। কারণ ছাড়াই দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, তদারকি সংস্থা কী করছে, সেটা দেখার বিষয়।

অবশেষে মুরগির দাম কিছুটা কমলো অবশেষে মুরগির দাম কিছুটা কমলো

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান  বলেন, রোজা এলেই বাড়তি মুনাফা করতে বিক্রেতারা সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই অসাধুতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তদারকি সংস্থাগুলোর এদিকে নজর দিতে হবে।

 

কাপ্তান বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. জুম্মন ব্যাপারী বলেন, মাংসের দাম হবে না কেন? গরু ও খাসির দাম বেড়েছে। কারণ গরু যারা পালন করে তাদের ব্যয় বেড়েছে। পশুকে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে ওষুধ, বিদ্যুৎ বিল সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে এই দাম মাংসের ওপর পড়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ খরচ বেড়েছে। রাস্তায় চাঁদাবাজি আছে। এছাড়া সামনে কুরবানির ঈদ। অনেক খামারি পশু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে।

 

 জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার  বলেন, মাংসের দাম প্রতিবার সিটি করপোরেশন ঠিক করে। এবার দাম নির্ধারণ করা হয়নি। কেন করেননি আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। সামনে ঈদ। মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। অধিদপ্তরের টিম সার্বিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।  তদারকির মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।


একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!