ভরা মৌসুমেও দাম চড়া ইলিশের। অথচ মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮৫ ভাগ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশেই এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৩ থেকে ১৪শ’ টাকা।
বাংলাদেশে মানুষের পাতে ইলিশ তেমন একটা ওঠছে না। ইলিশের ভরামৌসুম হলেও নদ-নদীতে ইলিশ মিলছে কম। মাঝে মাঝে সাগরে ইলিশের ঝাক ধরা পড়ছে। সেগুলো দেশের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশের পরিমাণ খুবই কম।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, এবছরে ইলিশের আমদানি কম। মূলত এখন ঝাকে ঝাকে ইলিশ ধরা পড়ার সময়। কিন্তু নদ-নদীতে মিলছে কাঙ্খিত না। তবে, এবারে বড় আকারের ইলিশ মিললেও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২শ’ টাকা কেজি।
ভোক্তারা বলছেন, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা হলে সাধারণ মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে।
এখন যে দাম, তাতে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ইলিশ খাওয়া সম্ভব নয়।
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কম তাই দাম চড়া। মাছের আমদানি বেশি হলেই দাম নিম্নমুখী হবে। এখন নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম।
বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮৫ ভাগ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়ে থাকে।
এবছর ইলিশের উৎপাদনের লক্ষমাত্র ৬ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে কম সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়া বিষয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান একুশে সংবাদ.কমকে জানান, ইলিশের চলাচল লম্বা রুট ধরে। সাগর থেকে ওঠে এসে নদ-নদীতে বিচরণ করে থাকে।
ডুবোচর, পানিদূষণ, ময়লা-আবজূনা, অপরিকল্পি বালু উত্তোলন, বিভিন্ন রকমের জাল পেতে রাখা ইত্যাদি কারণে ইলিশের বিচরণক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইলিশ আসা কমেছে।
ড. আনিসুর রহমান বলেন, পূর্ণিমা এবং অমাবস্যায় ইলিশ মাছ ধরা হয়েছে। আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ এবং সেপ্টেম্বর পূর্ণিমা-আমাবস্যায় ইলিশ মাছ ধরা পড়া সম্ভবনা রয়েছে। এই সময়গুলোতে ইলিশের চলাচল থাকে বেশ।
ড. আনিসুর বলেন, বাংলাদেশে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। এবারে ৬ লাখের কাছাকাছি ইলিশ উৎপাদন হতে পাওে বলে জানান এই গবেষক।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :