AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন


Ekushey Sangbad
আমিনুল হক ভূইয়া
০১:৪৩ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০২৩
নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় দুই মাস ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুই ধাপে এই নিষেধাজ্ঞার ফলেই বাংলাদেশে প্রতিবছর ইলিশের উৎপাদন বেড়ে চলেছে। গত বছর সাড়ে সাত কেটির ওপরে ডিম ছাড়ে ইলিশ। এবছর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

 

নিষেধাজ্ঞার প্রথম ধাপে নিরাপদ প্রজননের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে নভেম্বর ২২ দিন এবং দ্বিতীয় ধাপে জাটকা রক্ষায় ২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন প্রায় পৌনে ছয় লক্ষ্য মেট্রিক টন।

 

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে এবারে ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বাংলাদেশে ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান একুশে সংবাদ.কমকে বলেন, প্রতি বছর একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় না। আমাবস্যা পূর্ণিমা নিয়ে বিশেষ করে চন্দ্রমাসের হিসাব অনুযায়ী ইলিশের প্রজনন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাগর থেকে ছুটে এসে মিঠা পানিতে ইলিশ ডিম ছাড়ে। ইলিশের এই আসা-যাওয়া নিরাপদ করতেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

 

ড. আনিসুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার এই পদক্ষেপের কারণে জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন প্রতিবছর বাড়ছে। ইলিশের উৎপাদন এবং মা-জাটকা রক্ষায় সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তা হলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে। ইলিশ ডিম ছেড়ে যাতে নিরাপদ সাগরে ফিরে যেতে পারে সেজন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

 

এরপর জাটকা রক্ষায় ফের ২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। জাটকা রক্ষা করা সম্ভব হলে পরবর্তী বছরে কাঙ্খিত ইলিশ উৎপাদন মিলবে। ড. আনিসুর রহমান জানান, গত বছর সাড়ে সাত লাখ কেজির ওপরে ডিম ছাড়ে ইলিশ। তার যদি ৫০ শতাংশ হেজ করে এবং ১০ শতাংশ টিকে যায়, তাহলেও ৪০ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়। যা পরবর্তী বছরের জন্য তৈরি হয়। তারাই ফের ডিম ছাড়ে ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করে থাকে। এ কারণে ইলিশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

 

মৎস্য ও প্রণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ, যা বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। আর উৎপাদন বাড়লে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করে লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।

 

ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ৩৮ জেলার আকাশ, নদী ও সমুদ্রপথে বিশেষ টহল জোরদার করা হবে। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশ ধরা বন্ধকালে যাতে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা অবৈধ মৎস্য আহরণ করতে না পারে, সে জন্য সাগরে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী ব্যবস্থা নেবে। নৌ পুলিশ এ বছর নদীতে ভাসমান ফাঁড়ি পরিচালনা করবে।

 

২০ সেপ্টেম্বর ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে বলেও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে আইন অমান্যকারী কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য খাদ্যসহায়তা বাবদ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার চাল পাবে ২০ কেজি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ জেলার ১৫১টি উপজেলায় এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

 

অভিযান বাস্তবায়নকালে ২০টি জেলা বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ঢাকা, কক্সবাজার ও বাগেরহাট, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম জেলার সব নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ সব রকমের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা

Link copied!