বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট দুনিয়ায় সাকিব নিজেই একটি ব্র্যান্ড। যিনি ব্র্যান্ডিং করেন বাংলাদেশকে। সাকিবকে নিয়ে কত আলোচনা সমালোচনা, কত কত প্রশ্ন, কত শত অভিযোগ। সব কিছু ছাপিয়ে সাকিবই দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম।
সিলেটে চলমান বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডেতে ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে নেন উইকেটও। বাংলাদেশ দল পায় বিশাল এক জয়। আর দেশকে জয় তুলে দেয়ার পরের দিন সাকিবকে দেখা গেল ঢাকায় কালো-সবুজ গাউন গায়ে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখন অফিশিয়ালি গ্রাজুয়েট!
রোববার (১৯ মার্চ) আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২১ তম সমাবর্তনে উপস্থিত হন সাকিব। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। গ্র্যাজুয়েটদের তালিকায় তার নাম দেখা যায় ‘খন্দকার সাকিব আল হাসান’ হিসেবে।
এআইইউবির ২০০৯-১০ সেশন থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন সাকিব।
সমাবর্তনে সার্টিফিকেট নিতে মঞ্চে এসে সাকিব বলেন, ক্রিকেটে যখন আমার অভিষেক হয়, ক্যাপটা যখন হাতে পেয়েছিলাম তখন যেমন মনেছিল, এতো বছর পর আজ সেই একই অনুভূমি কাজ করছে। ২০০৯ সালের দিকে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের তিন বছর হয়ে যাওয়ার পরও আম্মা যখন ফোন করতেন, তখন জিজ্ঞেস করতেন; আমার পড়াশোনার কী অবস্থা। আজ আমি খুবই খুশি, খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। অবশেষে আমার এ স্বপ্নটা পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশকিছু অর্জন আছে, কিন্তু এ গ্র্যাজুয়েশন আমার সবসময় স্বপ্ন ছিলো।
সাকিব তার কোচ ও টিচারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার সকল কোচ-টিচারকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের সাপোর্ট ছাড়া এটা সম্ভব হতে না। এআইইউবিকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু আমাকে না, আমাদের ক্রিকেট দলের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করছে।
একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :