লিওনেল মেসির দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে উড়ে গেল কুরাকাও। এদিন আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করেন মেসি। ক্যারিয়ারে এটি তার ৫৭তম হ্যাটট্রিক। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রতিপক্ষের জালে এদিন গোল উৎসবে মেতে ওঠে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নের আবহ নিয়েই তারা মুখোমুখি হয়েছিল কুরাসাওয়ের। দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপদেশটিকে পেয়ে একেবারে ছেলেখেলায় মেতে উঠে মেসিরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা তাদের ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। তাতে আন্তর্জাতিক বিরতিটা সাফল্যের সঙ্গেই কাটলো আর্জেন্টিনার।সেই সাথে দুই প্রীতি ম্যাচে করেছে ৯ গোল!
র্যাংঙ্কিংয়ের ৮৬তম দল হলেও স্ক্যালোনি প্রতিপক্ষকে মোটেও হালকাভাবে নেননি। বরং বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ৫ জনকে একাদশে নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন।
সান্তিয়াগো দেল এস্তেরোয় ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ছিল আর্জেন্টিনার আধিপত্য। তাদের আক্রমণের ঢেউ সামলাতে সফরকারীদের বেগ পেতে হচ্ছিল।খেলার ২০ মিনিটে আর্জেন্টিনার গোলমুখ উন্মুক্তও করেন মেসি।
তাতে পানামার বিপক্ষে ৯৯তম আন্তর্জাতিক গোল করা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক কুরাসাওর বিপক্ষেও পেয়ে যান শততম গোল। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে ডানে গিয়ে নিচু শটে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। অবশ্য তার আগে ১২ মিনিটে মনতিয়েল্লের কাট ব্যাক থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেছেন। তাকে রুখে দেন কুরাসাও গোলকিপার। ৩৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। চার মিনিট পর পূরণ করেন জাতীয় দলের হয়ে নবম হ্যাটট্রিক। এর আগে ২৩ ও ৩৫ মিনিটে যথাক্রমে দুটি গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেস ও এনজো ফার্নান্দেস।
প্রথমার্ধে আক্রমণের তেজ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেটি সীমিত হয়ে পড়েছিল। বল দখলের পরিমাণ বাড়ে যদিও। বিশেষ করে প্রথমার্ধে ১৫ প্রচেষ্টার তুলনায় এই অর্ধে তার ধারেকাছেও ছিল না। তবে কিছু সুযোগ মিস না হলে গোল ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন মার্তিনেজ। তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়েছেন কুরাসাও গোলরক্ষক।
৭৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। তার পর স্পট কিকে স্কোর ৬-০ করেছেন বদলি হয়ে নামা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। তার পর ৮৬ মিনিটে মেসিও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার একক প্রচেষ্টার শট কোনওরকমে হাত দিয়ে রক্ষা করেছেন কুরাসাও গোলরক্ষক।
এর এক মিনিট পর ঠিক-ই স্কোর ৭-০ করেছেন মন্তিয়েল। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে বাম প্রান্ত থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল মুখে বল দেন দিবালা। সুযোগ পেয়ে কোনও ভুল করেননি মন্তিয়েল।
একুশে সংবাদ/ডে বা/সম
আপনার মতামত লিখুন :