তিন বছর আগেও ইরানের আইস হকিতে অস্তিত্ব ছিল না। সেই তারাই এশিয়াতে এবার চমক দেখাল। ইরান নারী আইস হকি দলের অধিনায়ক এবং সহকারী কোচ আজাম সানাই জানান, তার দলের এমন পারফরম্যান্স কেউই বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না এবং সবাই বেশ অবাক হয়েছিল।
কয়েক বছর আগেও আইস হকিতে ইরান দলের অস্তিত্ব না থাকলেও দলটির বর্তমান পারফরম্যান্স জানান দিচ্ছে, ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। গেল মাসে ব্যাংককে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ইরান দল। সেখানে কুয়েত, আরব আমিরাত, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। যদিও ফাইনালে থাইল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ইরানের নারীরা।
চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও দলের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দারুণ খুশি সানাই। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এটা আমাদের প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া। অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের থেকে অনেক বেশি ছিল। আমাদের জন্য এমন বড় টুর্নামেন্টে অংশ নেয়াটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্ত ছিল ফাইনালে খেলা এবং দ্বিতীয় হওয়া।’
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৭ গোল করেছেন ইরানের ফাতেমাহ ইসমায়েলি। তিনি বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে আমরা কিছুটা অবাক ছিলাম। কারণ, এমন পরিবেশে আমরা এর আগে কখনো খেলিনি।’
উল্লেখ্য, আইস হকি হল একটি অতি পরিচিত দলগত ক্রীড়া, যা বরফের উপর খেলা হয়। এ খেলায় একটি আইস রিঙ্কের মধ্যে দু`দল স্কেটার তাদের স্টিক দিয়ে আঘাত করে ভালক্যানাইজড রাবার পাককে (বল) তাদের প্রতিপক্ষের নেটে পাঠানোর চেষ্টা করে। আইস হকির প্রত্যেকটি দল ছয়জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হয়। একজন গোলটেন্ডার এবং অন্য পাঁচজন খেলোয়াড়, যারা বরফের উপর স্কেটিং করে পাককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে গোল করে স্কোর করার চেষ্টা করে।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :