ঘুরল না ভাগ্যের চাকা। ফের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হারল ভারত। আবারও আইসিসি ট্রফির খরা কাটাতে পারল না রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। এই হারের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন করতে বাদ যাচ্ছেন না প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। রাহুল দ্রাবিড়ের সতীর্থ প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় কোচকে প্রশ্নই করে বসলেন আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত কেন? সুনীল গাভাসকর তো শুরু থেকেই দুর্বলতাকে তুলে ধরেছেন।
সব মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের হুলুস্থুলুস অবস্থা। এই অবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে শুভমন গিলের করা টুইট। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে চতুর্থ দিনের ম্যাচে ক্যামেরন গ্রিনের ধরা গিলের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তা নিয়ে দিনের শেষে টুইট করেন গিল। যেখানে উদ্দেশ্য করা হয় আম্পায়ারকে। এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করেন সাসপেন্ড করা উচিত শুভমানকে।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া বিশাল ৪৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার দিকেই ঝুঁকেছিল এই ম্যাচ। তবে ভারতের তারকা খচিত ব্যাটিং লাইনআপ দেখে কিছুটা আশা জেগেছিল সমর্থকদের মনে। প্রত্যেকে ভাবছিলেন রোহিত শর্মা থেকে শার্দুল ঠাকুরের মধ্যে কেউ একজন টিকে গেলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে। শুরুটাও ভালো করে রোহিত শর্মা এবং শুভমন। কিন্তু সমস্যা বাঁধে স্কট বোল্যান্ডের একটি বলে শুভমনের ব্যাটের কোনা ছুয়ে ক্যামেরনের কাছে পৌঁছলে। বলটি তালুবন্ধি করেই উইকেট পড়ার উদযাপন করতে থাকেন তিনি।
মাঠে উপস্থিত আম্পিয়াররা আউট কিনা বুঝতে না পারলে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় সেখানে। রিপ্লেতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি বলটি মাটিতে লেগেছে কিনা। অনেকেই বলতে থাকে এটি আউট নয়। আউটের সিদ্ধান্তে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মারা। ক্যাচটি নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন সবাই। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে শুভমন নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে ক্যামেরনের ক্যাচটি ধরার একটি মুহূর্তের স্ক্রিনশট দিয়ে পোস্ট করেন।
সেই পোস্টের ক্যাপশনে কয়েকটি আতস কাঁচের ছবিও দেন। আর তা নিয়েই ফের বিতর্কের শুরু হয়। বলা হতে থাকে আম্পায়ারকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং এই ম্যাচে ধারাভাষ্যকার রিকি পন্টিং বলেন, `এই ক্যাচটি ধরা নিয়ে কিছু দোলাচল রয়েছে। তবে কেউই সরাসরি আম্পায়ারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারে না। এটা করা যায় না। গিল যা করেছে তা একেবারেই ঠিক কাজ করেনি। সরাসরি আম্পায়ারকে আক্রমণ করা হয়েছে। ও শাস্তি হিসাবে আর্থিক জরিমানা অথবা বেশ কিছু ম্যাচ সাসপেন্ড করতে পারে আইসিসি।`
একুশে সংবাদ/সম
আপনার মতামত লিখুন :