আর বাকি মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর। হাই ভোল্টেজ এই টুর্নামেন্ট নিয়ে এখন থেকেই পারদ চড়তে শুরু করেছে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলি ধীরে ধীরে নিজেদেরকে তৈরি করছে বিশ্বকাপের জন্য। একে অপরের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে হাত পাকিয়ে নিচ্ছে তারা।
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ভারতীয় দলে কোনও আইসিসি ট্রফি নেই। সম্প্রতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হেরে সেই বিতর্ক আরও মাথা চাড়া দিয়েছে। এবার ভারতীয় দলের প্রথম ৬ জন ব্যাটারের মধ্যে অন্তত দু`জন বাঁহাতি থাকা উচিত বলে মনে করেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী।
ভারতীয় দলে বর্তমানে ডানহাতি ব্যাটারদের সংখ্যা বেশি। এখন ওপেনিং জুটি হিসেবে শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে তারা দু`জনেই ডানহাতি ব্যাটার। এই বিষয়ে রবি শাস্ত্রী দ্যা উইককে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, `দলে সঠিক ভারসাম্য রাখতে হবে। বলছি না যে ওপেনিং পজিশনে ডানহাতি এবং বাঁ-হাতি দরকার কিন্তু ৩ বা ৪ নম্বরে এর প্রয়োজন আছে। দলকে সেই বিকল্পগুলি দেখে নিতে হবে। আদর্শগতভাবে আমি প্রথম ছয় জন ব্যাটরের মধ্যে দুইজন বাঁ-হাতিকে দেখতে চাই।`
গত বছর গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কারণে ঋষভ পন্ত এই বছর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছেন না। ভারত একদিনের ক্রিকেট একজন গুরুত্বপূর্ণ বাঁ-হাতি ব্যাটারকে হারিয়েছে। ইশান কিষাণকে দলে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা আরও একটি বিকল্প। কিন্তু প্রথম ছয়ে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা তার খুব বেশি নেই। যশস্বী জয়সওয়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু ওডিআই দলে থেকে তার নাম নেই।
সম্ভবত ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে। পন্ত যদি সময় মতো ফিট হয়ে যান তাহলে সম্ভবত তাঁর জায়গা ফিরে পাবেন। কিন্তু যদি তা না হয়, ভারতীয় দলে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের জন্য বিকল্প রয়েছে কিনা এই প্রশ্ন রবি শাস্ত্রীকে করা হলে তিনি উত্তর দেন, `ইশান কিষাণ রয়েছে। উইকেটরক্ষক বিভাগে সঞ্জু স্যামসন আছে। বাঁ-হাতি হিসাবে যশস্বী জসওয়াল ও তিলক ভার্মা আছে। এই তরুণ ক্রিকেটাররা যথেষ্ট প্রতিভা সম্পন্ন। বর্তমানে যেকোনও সিনিয়র ক্রিকেটারকে সরিয়ে দলে জায়গা করে নিতে পারে তারা।`
রবি শাস্ত্রী মনে করেন ভারতীয় দলে তরুণদের নিয়ে একটা আলাদা ভাবনা চিন্তা করতে হবে। তাদেরকেই সিনিয়র দলের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন প্রতিভা উঠে আসায় তিনি অনেকটা খুশি। এই বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, `এখানে অনেক তরুণ প্রতিভা আছে জসওয়াল, তিলক ভর্মা, নেহাল ওয়াধেরা, সাই সুদর্শন, জিতেশ শর্মারা রয়েছে। বোলারদের মধ্যে, বেশ কয়েকজন আছে সবার নাম মনে পড়ছে না, তবে অন্তত চার বা পাঁচজন আছে যারা ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় তৈরি হতে পারে। তাই আমি সাদা বলের প্রতিভা নিয়ে চিন্তিত নই। দলের সব সময় প্রস্তুত থাকা উচিত। একটি প্ল্যান বি, প্ল্যান সি থাকা উচিত।`
সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে রবি শাস্ত্রী এখনও আশাবাদী। তিনি মনে করেন সঞ্জু তাঁর প্রতিভার এখনও বুঝতে পারিনি। শাস্ত্রী মনে করেন ভারতীয় দলের দরজায় এখন অনেক তরুণ প্রতিভা দাঁড়িয়ে রয়েছে। ম্যানেজমেন্টের উচিত এখন থেকেই আগামীর জন্য ক্রিকেটার তুলে আনা। শাস্ত্রী জানান আইপিএলের কারণে সাদাবলের ক্রিকেটে অনেক তরুণ প্রতিভা সম্পন্ন ক্রিকেটার উঠে আসছে কিন্তু লাল বলের ক্ষেত্রে সেটা নেই।
শাস্ত্রী আত্মবিশ্বাসী যে ভারত ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে নামবে এবং যদি তারা দলের ভারসাম্য ঠিক রাখে তবে জিততে পারে। বিরাটদের প্রাক্তন হেড স্যার বলেন, ওরা ঘরের মাঠে খেলছে। আমার মনে হয় ওরা ফেভারিটদের মধ্যে একটা। আমি এখন বলছি আমার মনে হয় যদি অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের সঠিক ভারসাম্য পায় তারা এটা জিততে পারে।`
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :