চারিদিকে এখন টি-টোয়েন্টি লিগের রমরমা। ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনার শেষ নেই। আইপিএল থেকে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। তেমনই ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ দেখার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ এবছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। খেলা চলবে মাত্র দুই সপ্তাহ। অর্থাৎ শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগের আয়োজকরা একথা ঘোষণা করেন।
বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ এই বছর ১৩তম বর্ষে পা দিল। এই লিগে অংশগ্রহণ করবে মোট আটটি দল। এই আটটি দল হল- ব্রিসবেন হিট, মেলবোর্ন স্টারস, সিডনি সিক্সার্স, পার্থ স্কচার্স, হোবার্ট হারিকা, সিডনি থান্ডার, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, রেনেগেডেস।
উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে গাব্বাতে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রিসবেন হিট এবং মেলবোর্ন স্টারস। তবে সেই সময়ই পারথে মুথোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান। সেই টেস্টের জন্য খেলা বন্ধ থাকবে। ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগের ম্যানেজার অ্যালিস্টার ডবসন বলেন, `আমরা এই মরশুমে বিবিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করতে পেরে খুবই সন্তুষ্ট এবং উত্তেজিত।`
কেএফসি টি-২০ বিগ ব্যাশ লিগ অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ২০১১ সালে এই টুর্নামেন্টটির উদ্বোধন হয়। প্রতিযোগিতার শীর্ষ দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে। পার্থ স্কচার্স গতবারের চ্যাম্পিয়ন হয়। এই নিয়ে তারা নিজেদের পঞ্চমবার ট্রফি জিতেছে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা। তাদের কাছে সব সময় এই লিগগুলির গুরুত্ব থাকে অনেক। তবে এই বছরে এই লিগগুলির গুরুত্ব আরও অনেক বেড়ে গেছে। সামনেই একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ, সেখানে জাতীয় দলের হয়ে পারফরম্যান্স করার জন্য প্রত্যেক ক্রিকেটারই মুখিয়ে আছেন। তাই এই টি-টোয়েন্টি লিগ গুলিকে প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে তারা।
অস্ট্রেলিয়া বিগ ব্যাশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাতেও শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি লিগ। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে মরিয়া ক্রিকেটাররাও। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টগুলিতে অংশ নেন না। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও অনেকেই তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে নিজেদের সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই বদলায়নি বিসিসিআই।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :