দেশের ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কাজ ২০২১ সালে শুরু হলেও এখনো শেষ না হওয়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনা ও নানা পারিপার্শ্বিকতায় সংস্কার ব্যয় এবং কাজের সময় দু’টিই বাড়ছে।
রবিবার (৯ জুলাই) জামালদের সাফের সেমিফাইনালে খেলায় আর্থিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তোমরা খেলতে পারছো না অনেক দিন। এখনো সংস্কার চলছে। কোনো স্টেডিয়ামে ৩-৪ বছরে বেশি সময় সংস্কার চলে কিনা আমার জানা নেই। এটা বললে সমালোচনা হয় আমি সমালোচনা না বাস্তবতাই বলছি।’
সামনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বিশ্বকাপ বাছাই। সেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হোম ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সামনে বিশ্বকাপের খেলা আমাদের মাঠ নেই। জঙ্গলে গিয়ে খেলতে হবে।’
সমালোচনার সঙ্গে খানিকটা আশাও ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘আশা করব ২-৩ মাসের মধ্যে আমাদের মাঠ বুঝিয়ে দেবে খেলার জন্য।’
বাফুফে সভাপতি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম না পাওয়ার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সমালোচনা করলেও তিনি মাঠের ব্যাপারে মনোযোগী নন। বাফুফে বেতনভুক্ত অনেক স্টাফ থাকলেও স্থায়ী গ্রাউন্ডসম্যান মাত্র একজন। বাফুফের মোট বাজেটের মধ্যে মাঠ নিয়ে বরাদ্দও থাকে খুব কম। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বাফুফের অধীনে আসার পর এর মাঠ উন্নয়ন নিয়ে বাফুফে তেমন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছাড়া ফুটবলের আন্তর্জাতিক ভেন্যু সিলেট জেলা স্টেডিয়াম।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের সঙ্গে মাঠের সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা যে মাঠে খেলি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে মাঠ এর মধ্যে তারতম্য অনেক। একমাত্র বসুন্ধরা কিংস ছাড়া অন্য কোনো মাঠই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নয়।’
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :