ম্যানচেষ্টার সিটিতে যখন তাঁর ক্যারিয়ারে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্ডি, ঠিক সেই সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে গুরুতর অভিযোগ। তখনই থমকে যায় ফুটবল ক্যারিয়ার।
চুক্তি বাতিল করে সিটি। আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার দায় বর্তায় মেন্ডির উপরেই।তবে তিনি হাল ছাড়েননি। নীরবে চোখের জল ফেলেছেন ঠিক। তবে ততটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন আগামীর লড়াইয়ের জন্য। সেই তিনিই শেষ হাসি হাসলেন শুক্রবার। ইংল্যান্ডের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে ছাড়লেন সিটির প্রাক্তন ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডি।
উল্লেখ্য মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল। সেই সব অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে আদালত। অভিযোগ নস্যাৎ করে মেন্ডিকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে তারা।
বিচারক চেস্টার ব্রাউন এদিন ইংল্যান্ডের আদালতে মেন্ডির পক্ষে রায়দান করেন। রায় শোনার পরে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি বেঞ্জামিন মেন্ডি। কান্নায় আদালত চত্বরেই ভেঙে পড়েন তিনি। বিচারক জানান ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টা সহ সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হল মেন্ডিকে। এই কথা শুনে নিজের আবেগকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ২৪ বছর বয়সি এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে চেশায়ারে এই অভিযোগ আনেন মহিলা। মেন্ডির নিজের বাসভবনেই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ফুটবলার বলে অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আরেক মহিলা অভিযোগ এনেছিলেন মেন্ডি নাকি তাঁকে এই ঘটনার আগেই ধর্ষন করার চেষ্টা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত এর আগে ও মেন্ডির বিরুদ্ধে ওঠা ছটি ধর্ষনের অভিযোগ এবং একটি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ খারিজ করেছিল কোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন চারজন ভিন্ন ভিন্ন মহিলা। তবে একটি ধর্ষণের মামলা এবং একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় সেদিন বিচারক কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি।
২৪ বছর বয়সি ওই মহিলার অভিযোগ ছিল তার ফোনে দুজনের ঘনিষ্ঠতার ছবি ছিল। সেই ফোন আনতে তিনি মেন্ডির বাড়ি যান। সেই সময়ে ফুটবলারটি তিনি যৌন সম্পর্ক করতে না চাইলেও তাঁকে জোর করে বিছানায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন মেন্ডি।
মেন্ডি জানান তিনি মোটেও সেই মহিলার সঙ্গে বলপূর্বকভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেননি বরং মেয়েটি স্ব-ইচ্ছায় তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। ছয়জন পুরুষ এবং ছয়জন মহিলা বিচারকের বেঞ্চ এদিন তিন ঘন্টা সময় নিয়ে এই মামলার রায়দান করেন। বিচারক স্টিভেন এভারেট মেন্ডিকে এরপর `ডক` থেকে ছেড়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :