আগামী বছর ভারত সফরে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলার জন্য প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অনুরোধকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলি। কোনভাবেই আর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চান না মঈন। অধিনায়ক বেন স্টোকসের অনুরোধে অবসর ভেঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজ সিরিজে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যাশেজ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটের ইতি টানতে চান মঈন। তিনি জানান, আগামী ভারত সফরে টেস্ট খেলার অনুরোধ করেছে ম্যাককালাম। কিন্তু অ্যাশেজ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেট শেষ করছি।
২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট অবসর নেন মঈন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ শুরু আগে ইনজুরির কারনে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচ। তার জায়গা পূরণের জন্য মঈনকে অবসর ভেঙ্গে অ্যাশেজ খেলার অনুরোধ করেন স্টোকস। তার অনুরোধে আবারও টেস্ট আঙিনায় ফিরেন মঈন।
সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজে আহমরি কিছু করতে না পারলেও মঈনের পারফরমেন্সে খুশি স্টোকস-ম্যাককালাম। ৪ টেস্টে ১৮০ রান ও ৯ উইকেট নেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান করা ও উইকেট শিকারে পারদর্শীতার কারনে সিরিজে প্রভাব রাখতে পেরেছেন মঈন। ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়েও শেষমেষ সিরিজ সমতায় শেষ করে ইংল্যান্ড।
স্টোকস-ম্যাককালাম খুশি হলেও, নিজের পারফরমেন্সে খুশি নন মঈন। তিনি বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হয় না, আমি এতটা ভালো করেছি। এভাবে শেষ করাটা দারুণ। কিন্তু আমার হারানোর কিছুই ছিল না। এটি ফ্রি-হিটের মতো ছিলো। আমার মনে হয়েছিল, আমার বোলিং ভালো করেছি। আঙুল নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। বোলিং নিয়ে চিন্তা ছিলো না আমার।’
মঈনের এমন পারফরমেন্সের কারনে আগামী ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে খেলার অনুরোধ করেন ম্যাককালাম। ম্যাককালামকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন মঈন। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমার সিদ্ধান্ত জানতো তারা। বিশেষ করে যখন ভারত সফরের ভেন্যুগুলোর নাম জানানো হলো। শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন আমাকে আবারও বাজ(ম্যাককালাম) বলেছিল, আমি না বলেছি। আমি বলেছি, ভারতে যাচ্ছি না। ভারতের যাওয়ার সুযোগই নেই। আমার এখানেই শেষ। এভাবে শেষ করা ও এমন একটা দারুণ দিনের অংশ হওয়াটা দারুণ কিছু।’
ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শেষে স্টোকসকে উদ্দেশ্য করে মঈন বলেন, ‘স্টোকসি আবার আমাকে ফিরতে অনুরোধ করে মেসেজ পাঠালে সেই মেসেজ ডিলিট করে দিবো। আমি ফেরাটা উপভোগ করেছি। আর এভাবে শেষ করতে পারাটা তো বড় কিছুই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজ ও স্টোকসির সাথে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছি, এমন একটা দলে খেলেছি, যেখানে জিমি ও ব্রডিও ছিল। এই দু’জন আমার ক্যারিয়ারের শুরুতেই ছিলেন। দারুণ অনুভূতি নিয়েই চলে যাচ্ছি।’
২০১৪ সালে লর্ডসে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে দিয়ে টেস্ট অভিষেকের পর ৬৮ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩০৯৪ রান ও ২০৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী মঈন।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :