AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১৫ আগস্টের পাশবিক হত্যাকান্ড ছিলো দেশী বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
ক্রীড়া প্রতিবেদক
০৪:০৩ পিএম, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
১৫  আগস্টের  পাশবিক হত্যাকান্ড ছিলো দেশী বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সাধারণ কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিলো সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই মেরে ফেলার দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ। সুপরিকল্পিত এ হত্যাকান্ড বিশ্বের  ইতিহাসে সব থেকে বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। 

 

এ বর্বরোচিত ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন শুধু তাদেরকে  বিচারের আওতায় আনলে হবে না। যারা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন,  পর্দার আড়াল থেকে যাবতীয়  কলকাঠি নেড়েছিলেন সেই কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন,  মেজর জিয়া ও তার দোসররা নির্মম এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো।বাংলাদেশ হতে চিরতরে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার জন্য এসকল কুশীলবদের মরোনোত্তর হলেও বিচার করতে হবে। যারা বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা  কার্যকর করতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো  বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল।

 

তিনি আজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে   প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু  শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।  ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।


তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্থানী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। 

 

১ কোটি বাঙালি শরণার্থীর পূর্ণবাসন, মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে প্রত্যাবর্তন, স্বল্পসময়ের মধ্যে দেশের সংবিধান রচনা, জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ, সকল স্তরে দুর্নীতি নির্মূল, কৃষি বিপ্লব, কল-কারখানাকে রাষ্ট্রীয়করণ, ১০০ এর বেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বীকৃতির আদায়, জাতিসংঘ, ন্যাম, ওআইসিসহ  বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভসহ দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, পাঁচ হাজার টাকার ওপরে কৃষিঋণ মওকুফকরণ এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমিয়ে এনে সামাজিক অর্থে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমি মালিকানার সিলিং পুনর্নির্ধারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে জাতির ভবিষ্যত্ তমিস্রায় ছেয়ে যাবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে উন্নয়নের এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে জাতির পিতার হাতের ছোয়া লাগেনি।

 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ।

 

একুশে সংবাদ/স ক   

Link copied!