ইনজুরির কারনে চেলসির নতুন মৌসুমের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। কিন্তু এর পিছনে ক্লাবের মেডিকেল টিম মোটেই দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন কোচ মরিসিও পোচেত্তিনো।
ইনজুরির তালিকাটা এতটাই দীর্ঘ যে গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে পোচেত্তিনো দলে মাত্র ১৫ জন ফিট খেলোয়াড় পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে টডি বোহলি দলের মালিকানা নেবার পর এ পর্যন্ত ট্রান্সফার মার্কেটে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশী ব্যয় করে ফেলেছে বøুজরা। কিন্ত ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। বোর্নমাউথের বিরদ্ধে মূল দলের ১২ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারনে পোচেত্তিনোকে বাধ্য হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলোয়াড় নিতে হয়েছে। এই তিনজনের প্রথম দলে খেলার কোন অভিজ্ঞতাই ছিলনা।
ইনজুরির কারনে যে তারকারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ক্রিস্টোফার এনকুকু, রেসি জেমন, রোমেও লাভিয়া, ওয়েসলি ফোফানা, কার্নে চুকুমেকা, ট্রেভ চালোবাহ ও মোয়েসিস কেইসেডো।
এই মুহূর্তে টেবিলের ১৪তম স্থানে থাকা চেলসি পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে। খেলোয়াড়দের এই ইনজুরি সমস্যা ক্রমেই বড় হচ্ছে, কিন্তু এর পিছনে মেডিকেল টিমের কোন দায় নেই বলেই মনে করেন পোচেত্তিনো, ‘এবারের মৌসুম শুরুর আগেই আমরা খেলোয়াড়দের ইনজুরির মাত্রা নিয়ে আলোচনা করেছি। গত মৌসুমেও এই সমস্যাটি আমাদের ভুগিয়েছে। ঝুঁকির বিষয়টিও আমরা পর্যালোচনা করেছি। এটা একেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে একেকরকম। এখানে মেডিকেল স্টাফদের কিছুই করার নেই। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আমি মনে করি ক্লাবের এই জায়গাটার প্রতি আমাদের সকলেরই শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ। তারা খুবই পেশাদার ও গুনসম্পন্ন মানুষ। এ কারনেই তারা ফুটবলে কাজ করছেন। বিভিন্ন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন। তাছাড়া দূর্ভাগ্যও এখানে একটি বিষয়। এক বা দুই মৌসুমে এত সংখ্যক খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়তে পারে। কিন্তু চেলসির ক্ষেত্রে বিষয়টা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :