দলকে জিতিয়েও পুরস্কার বিরতণী মঞ্চে সতীর্থ রবীন্দ্র জাদেজার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিরাট কোহলি। কারণটা জানলে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আপ্লুত হওয়াই স্বাভাবিক। আসলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন জাদেজা। তিনি ফিল্ডিংয়েও ছিলেন অনবদ্য। তবে শেষ বেলায় কোহলির আতশবাজিতে ঢাকা পড়ে যায় জাদেজার পারফর্ম্যান্সের জৌলুস। স্পটলাইটের আড়ালে চলে যান জাড্ডু।
তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ম্যাচে শক্তপোক্ত ভিত গড়ে। কুলদীপের শিকার হয়ে তানজিদ হাসান সাজঘরে ফেরার পরেও লড়াই চালিয়ে যান লিটন। এক্ষেত্রে জাদেজা মোক্ষম আঘাত হানেন বাংলাদেশ শিবিরে। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর মূল্যবান ২টি উইকেট তুলে নিয়ে জাদেজাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে জোরালো ধাক্কা দেন।
জাদেজা ১০ ওভারের বোলিং কোটায় মাত্র ৩৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। তাছাড়া জসপ্রীত বুমরাহর বলে মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ক্যাচ ধরেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচের অন্যতম দাবিদার ছিলেন জাদেজা। তিনি বিবেচনাতেও ছিলেন। তবে কোহলি দুর্দান্ত শতরানে ম্য়াচ ফিনিশ করার পরে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রে অটোমেটিক চয়েজে পরিণত হন।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার দেওয়ার পরে কোহলিকে জানানো হয় যে, জাদেজাকে টপকে তিনি এই খেতাব জিতলেন। কোহলি কালবিলম্ব না করে দুঃখ প্রকাশ করেন তারকা অল-রাউন্ডারের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।
বিরাট বলেন, ‘জাড্ডুর কাছ থেকে এটা (ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার) ছিনিয়ে নেওয়ায় খারাপ লাগছে। আসলে আমি চাইছিলাম দলের জয়ে বড় অবদান রাখতে। বিশ্বকাপে আগেও ৫০ করেছি। এবার ম্যাচ শেষ করতে চাইছিলাম।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :