গত অ্যাশেজ সিরিজে জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত স্টাম্প-আউট নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ক্রিকেটবিশ্ব। লর্ডসে বল ডেড হয়ে গিয়েছে ভেবে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। তবে অজি উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি বল স্টাম্পে ছুঁড়ে মারেন এবং টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন বেয়ারস্টোকে।
সেই বিতর্কের রেশ গড়ায় বহুদূর। এমনকি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীদেরও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় সেই বিষয়ে। শুক্রবার চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচে হুবহু একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে ক্রিকেটের স্পিরিটের কথা মাথায় রেখেই বিতর্ক তৈরি হতে দেননি মহম্মদ রিজওয়ান।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১৬.১ ওভারে হ্যারিস রউফের বলে লেগ সাইডে শট নেওয়ার জন্য সজোরে ব্যাট চালান এডেন মার্করাম। তবে বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। বল চলে যায় উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ানের দস্তানায়। রিজওয়ান বল ধরে কিছুক্ষণ হাতে রাখেন। মার্করাম বল ডেড হয়ে গিয়েছে ভেবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। ঠিক তার পরেই রিজওয়ান বল ছুঁড়ে দেন স্টাম্পে। বল স্টাম্পে লাগার পরে যখন বেল পড়ে যায়, মার্করাম ছিলেন ক্রিজের অনেক বাইরে।
রিজওয়ান দু`হাত ছড়িয়ে আউটের আবেদন করার উপক্রম করেও নিজেকে সংযত করে নেন। তিনি আবেদন জানাননি। বদলে তাঁর মুখে হাসি দেখা যায়। রিজওয়ান আবেদন না করায় তৃতীয় আম্পায়ারের কোর্টে বল পাঠানোর কোনও প্রশ্নই ওঠেনি। পরে মার্করামের সঙ্গে এই নিয়ে হাসাহাসি করতে দেখা যায় রিজওয়ানকে। পাকিস্তান শেষমেশ ম্যাচ হারলেও রিজওয়ানের এমন আচরণ মন জিতে নেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
মার্করাম সেই সময় ৩৪ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষমেশ তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। মার্করামের ইনিংসটিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেয়। সুতরাং, মার্করাম সেই সময় আউট হলে পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতো সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, শুক্রবার চেন্নাইয়ে পাকিস্তান টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারা ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। বাবর আজম ৬৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন। সউদ শাকিল ৫২ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন। শাদব খান ৩৬ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.২ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :