কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচু করে তুলে ধরার পর ক্যারিয়ার পূর্ণতা পায় লিওনেল মেসির। ৩৬ বছর পর নিজ দেশ আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা পাইয়ে দেয়ার পথে এলএমটেন যেসব জার্সি পরে মাঠ মাতিয়েছিলেন সেগুলো এবার নিলামে তোলা হচ্ছে। শুধুই যে ফাইনাল ম্যাচের জার্সি এমনটি নয়। আসরে তিনি যে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন ফাইনালেরটিসহ মোট ছয়টি ম্যাচের জার্সি নিলামে তোলা হচ্ছে।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে নিলামটি। সোথবি ওই নিলামের আয়োজন করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলাম চলবে। তখন মেসির জার্সি বিনা পয়সায় দেখতেও পাবেন দর্শকরা। খবর ইএসপিএন
জার্সিগুলোর মধ্যে রয়েছে নকআউট পর্বের চারটি ম্যাচ এবং গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচের। নিলামের আয়োজন করা প্রতিষ্ঠান সোথবি ধারণা করছে মেসির জার্সিগুলোর দাম ১০ মিলিয়ন ডলার বা ১১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে মাইকেল জর্ডানের ১৯৯৮ এনবিএ’র আইকনিক শিকাগো বুলসের জার্সি রেকর্ড ১০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।
মেসির জার্সি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ চ্যারিটি ফান্ডে অনুদান হিসেবে দেয়া হবে। নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবি বলেছে, ২০২২ বিশ্বকাপে পরা মেসির জার্সিগুলো উত্তরাধিকারের নিদর্শন। যা ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, পরিশ্রমের বার্তা বহন করে। এটি শুধু একটি বিশ্বকাপ জয় নয়, বরং এর চেয়েও বেশি কিছু। আগামী দিনে তার ওই জার্সি শ্রেষ্ঠত্ব বহন করবে।
এর আগেও মেসির জার্সি নিলামে উঠেছে। ২০১৭ সালে তার বার্সার একটি জার্সি নিলামে ওঠে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল ক্লাসিকোয় শেষ সময়ে গোল করে দলকে জেতানো যে জার্সি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া ডিয়াগো ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের হ্যান্ড অব গড জার্সি গত বছর বিক্রি হয়েছে ৯ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০০ কোটি টাকায়।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলার স্মারকের প্রতি ঝুঁকেছে। এটাকে বেশ দ্রুতবর্ধনশীল বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া লিগের দল ইন্টার মায়ামির খেলোয়াড় মেসির এই জার্সিগুলো নিলামে তোলার বন্দোবস্ত করেছে দেশটির টেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এসি মোমেন্টো।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :