২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। সবশেষ উইকেট হারিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (৪)। রাচিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েন ফেরেন বাংলাদেশের মোস্ট ডিপেন্ডবল এই ব্যাটার।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৯ রান। ৫ রানে আফিফ ও ১৪ রানে আছেন তাওহিদ।
সৌম্য সরকার দিয়ে শুরু। ইনিংসের চতুর্থ বলেই শূন্যরানে আউট হয়েছেন তিনি। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছেড়েছেন। বোলিংয়ে ৬ ওভার করে দিয়েছেন ৬৩ রান। প্রথম ওয়ানডেতে পুরোপুরি ব্যর্থ এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপর আনামুলকে নিয়ে একটা জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন নাজমুল। কিন্তু উচ্চাভিলাষী শটে নিজেরু উইকেট বিলিয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ইশ সোধিকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হবার আগে ২ চারে ১৩ বলে করেন ১৫ রান।
আশা দেখাচ্ছিলেন একাদশে সুযোগ পাওয়া আনামুল। কিন্তু আশা দেখিয়ে হাল ছেড়ে দিলেন অল্পতেই। ক্লার্কসনের বাউন্সারে পরাস্থ হন এই ওপেনার। ৫ বাউন্ডারিতে ৩৯ বলে তার ইনিংস থামে ৪৩ রানে। এরপর লিটনের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত ক্লার্কসনের স্লো বাউন্সারে দ্বিধান্বিত হয়ে ফেরার আগে ২২ রান করেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পায় ২৪৫ রানের লক্ষ্য। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করেন উইল ইয়াং। ৮৪ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। এছাড়া ৯২ রান আসে ল্যাথামের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে একাধিক রান আউটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের বড় রান পেতে সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশের হয়ে ৬ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। তাছাড়া ৫ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম ল্যাথাম, টম ব্লান্ডেল, মার্ক চাপম্যান, জশ ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি, উইলিয়াম ও’রুর্ক।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :