ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দাপটে বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করলো রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে এই ব্রাজিলিয়ানের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হলো কাতালানদের। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৪-১ গোলে জয়ী হয়ে ১৩তম বারের মতো সুপার কাপের শিরোপা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ।
হাই প্রেসিং লাইনের কারণে বার্সেলোনা গোল খেয়েছে অন্তত দুবার। আরাউহো ভিনিসিয়ুসকে আটকাতে গিয়ে পেনাল্টিই দিয়ে বসেছেন। প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করা বার্সার কাছে ফাইনাল শেষ হয়েছে প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগেই। ভিনিসিয়ুসের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ভর করে মৌসুমের প্রথম শিরোপা নিজেদের করে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনাকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে।
চলতি মৌসুমে লম্বা সময় ধরে চোটে আক্রান্ত ভিনিসিয়ুস যেন নিজেকে আবার পুরাতন ছন্দে ফেরালেন এই এক ম্যাচ দিয়েই। এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক। ম্যাচটায় ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার কতখানি উজ্জ্বল ছিলেন তা বোঝাতে সম্ভবত ছোট এই তথ্যটাই যথেষ্ট। ম্যাচ শুরুর প্রথম সুযোগটা অবশ্য বার্সেলোনাই পেয়েছিল। ৫ মিনিটেই রিয়ালের ত্রাতা হয়ে যান গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। এরপরই এগিয়ে যায় রিয়াল। জ্যুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে ভিনিসিয়ুস যখন বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙেছেন, তখন সামনে শুধুই গোলরক্ষক। চিরায়ত ব্রাজিলিয়ান ঢঙে তাকে পাশ কাটিয়ে স্কোরলাইন করলেন ১-০।
গোল খেয়ে বার্সেলোনা অবশ্য ধাতস্থ হওয়ার সুযোগটাই পায়নি। আরো একবার সেই হাই প্রেসিং লাইনের ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়েছে রিয়াল। দানি কারভাহালের বলটা রদ্রিগো যখন পেয়েছেন, তখনই সৌদির ভরা গ্যালারি নিশ্চিত ছিল দ্বিতীয় গোলের। সেই বলটা বাড়িয়েছেন ভিনিসিয়ুসের দিকে। তিন বার্সা ডিফেন্ডারের বলের কাছে যাওয়ার সাধ্য ছিল না। স্লাইড করে বল জালে জড়ান ভিনি।
১০ মিনিটে ২ গোল। শেষ অনেকগুলো ম্যাচেই ১ গোলের বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড নেই বার্সার। হারটা চোখ রাঙাচ্ছিল তখন থেকেই। তবে বার্সা আক্রমণ চলিয়ে গেল আরো কিছুটা সময়। ফেরান তোরেস সুযোগ মিস করলেন। বল ক্রসবারে লাগলো। এর মাঝেই অবশ্য বার্সেলোনা গোল পায়। ৩৩ মিনিটে বার্সার হয়ে ব্যবধান কমান রবার্ট লেভানডস্কি। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে খানিক আশা জাগিয়েছিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। কিন্তু ৩৯ মিনিটে রিয়ালের হয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেন ভিনি। ফাউল করেছেন সেই রোনাল্ড আরাউহো। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধেই আদায় করে নেন হ্যাটট্রিক। ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল।
এরপর অবশ্য আর বেশি কিছু করার ছিল না রিয়ালের মাদ্রিদের জন্য। বার্সেলোনার আক্রমণ আরো ছন্নছাড়া হয়েছে মাঝের সময়টায়। ৬৪ মিনিটে ৪-১ গোলে লস ব্লাঙ্কোসদের লিড এনে দেন রদ্রিগো। বাকি সময়টা বার্সা পার করেছে গোল না খাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে। এর মাঝে রোনাল্ড আরাউহোর লালকার্ড ম্যাচ হারের ক্ষতে দিয়েছে বাড়তি প্রলেপ।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :