ফুলহ্যামের সাথে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোলে ড্র করেও লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। আগামী মাসে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছিল। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফুলহ্যামের বিদায় নিশ্চিত করে অল রেডসরা। গতকাল ক্রাভন কটেজে রুইস দিয়াজের গোলে ১১ মিনিটে লিড নিয়েছিল সফরকারীরা। এই গোলের পর জার্গেন ক্লপের দল সহজ জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ তারা নষ্ট করে। উল্টো ৭৬ মিনিটে ইসা ডিওপের গোলে ফুলহ্যাম ম্যাচে সমতা ফেরায়। ম্যাচের শেষভাগে ফুলহ্যাম বেশ চাপ সৃষ্টি করলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর পেরে উঠেনি।
ক্লপ বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশনুযায়ী খেলতে পারিনি। আজকের রাতটা ছিল ফাইনাল ওঠার লড়াই। আমি মনে করি ছেলেরা দারুনভাবে চেষ্টা করেছে। আমি সন্তুষ্ট। ড্রেসিং রুমে পুরো দলের চেহারা দেখে আমি দারুন খুশী।’
আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারি ওয়েম্বলিতে চেলসির মোকাবেলা করার ম্যাচটি হবে রেডসের ১৪তম লিগ কাপের ফাইনাল। ২০২২ সালের ফাইনালেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল।
ক্লপ বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুন এক অনুভূতি। আরো একবার ফাইনালে আমাদের প্রতিপক্ষ চেলসি। আমরা জানি আমাদের কাছে প্রত্যাশা কি।’
লিভারপুল রেকর্ড নয়বারের মত লিগ কাপে শিরোপা জিতেছে। সেমিফাইনালে চেলসি মিডলসব্রোকে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ শিরোপা জয়ী চেলসি পাঁচবার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আফ্রিকান নেশন্স কাপে খেলতে গিয়ে গুরুতর ইনজুরিতে পড়া মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য লিভারপুল দল থেকে ছিটকে গেছেন। কিন্তু সালাহর অনুপস্থিতি সত্তেও রোববার বোর্নমাউথকে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। রেডসরা এবারের মৌসুমে এখনো এফএ কাপ ও ইউরোপা লিগে টিকে রয়েছে। যে কারনে তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে কোয়াড্রাপল জয়ের।
ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে হার্ভে এলিয়টের ফ্রি-কিক থেকে দিয়াজের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। আন্দ্রেস পেরেইরার কর্ণার থেকে জুয়া পালহিনসা মাত্র ১০ হজ দুর থেকে ফুলহ্যামের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ১১ মিনিটে অবশ্য আর কোন ভুল করেননি দিয়াজ। কলম্বিয়ান এই স্ট্রাইকারের লো ড্রাইভ ফুলহ্যাম গোলরক্ষক বার্নার্ড লিনো ধরতে পারেননি। প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে দিয়াজ আরো একটি গোল দিলেও ডারউইন নুনেজের অফসাইড পজিশনের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। রাউল জিমিনেজের শক্তিশালী শট কাওমিহিন কেলেহার রক্ষা করেন। বিশ্রামে থাকা এ্যালিসন বেকারের স্থানে খেলতে নামা কেলেহার এরপর ২৫ গজ দুর থেকে উইলিয়ানের শট রুখে দেন। নুনেজের কার্লিং শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন লেনো। যদিও ৭৬ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা হ্যারি উইলসনের এ্যাসিস্টে ডিওপের ফ্লিকে কেলেহার পরাস্ত হন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :