প্রায় দুই মাস পর ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হালান্ড। কিন্তু এমন দিনে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার জুলিয়ান আলভারেস। নিজের জন্মদিনে করেছেন জোড়া গোল। এতে করে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল। প্রতিপক্ষ বার্নলি। সিটিজেনদের হয়ে দুটি গোল জুলিয়ান আলভারেসের, একটি গোল রদ্রির। বার্নলির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আমিন আল দাখিল। লিগ টেবিলের অবনমন অঞ্চলের দল বার্নলিকে অনায়াসে হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি।
গত আগস্টে এই বার্নলিকেই ৩-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামে ম্যানচেস্টার সিটি। এদিনও তাদের বিপক্ষে জয় ৩ গোলে। তবে এবার এক গোল শোধ করেছে বার্নলি। বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচের দিনটি ছিল আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেসের ২৪তম জন্মদিন। নিজের জন্মদিনের সন্ধ্যাটা দারুণভাবেই রাঙিয়ে রাখলেন আলভারেস।
এদিনটি ছিল সিটির জন্য বিশেষ কিছু। কেননা চোটের ধাক্কায় দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পর এই ম্যাচ দিয়ে ফিরলেন আর্লিং হালান্ড। তবে হালান্ডের ফেরার ম্যাচের সব আলো জোড়া গোল করে কেড়ে নিয়েছেন আলভারেস।
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয় টানা তিনবারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের। আলভারেসের জোড়া গোলে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় সিটিজেনরা। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ম্যাথিউ নুনেস। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে প্রথম প্রচেষ্টায় পরাস্ত করতে না পারলেও বার্নলির ওই খেলোয়াড়ও পারেননি বল ক্লিয়ার করতে। সেই সুযোগে বল ধরে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান নুনেস এবং নিখুঁত হেডে গোল করে দলকে লিড এনে দেন আলভারেস।
প্রথম গোলের ছয় মিনিট পর কেভিন ডি ব্রুইনার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন আলভারেস। ডি-বক্সের বেশ বাইরে ফ্রি কিক পায় সিটি। বক্সে ডান দিকে ফাঁকা দেখে সেদিকে নিচু করে বল বাড়ান বেলজিয়ান প্লেমেকার, আর ছুটে গিয়ে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে ব্যবধান কমানোর ভালো একটি সুযোগ পেলেও বক্সে জায়গা তৈরি করেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বার্নলি ফরোয়ার্ড লাইল ফস্টার।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় গার্দিওলার শীষ্যরা। এই অর্ধের ২৪তম সেকেন্ডে ফিল ফোডেনের পাস বক্সের বাইরে পেয়ে শট নেন রদ্রি, বল সামান্য বাঁক খেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে বেলজিয়ান তারকা ব্রুইনাকে তুলে নেন সিটি কোচ।
তার জায়গায় প্রায় দুই মাস পর মাঠে নামেন হালান্ড, দর্শকরা তুমুল করতালিতে তাকে স্বাগত জানায়। ৮৩তম মিনিটে বক্সে ভালো পজিশনে বল পেলেও শটই নিতে পারেননি হালান্ড। দুই মিনিটের মধ্যে আবার সুযোগ আসলেও এবার গোলমুখে হেড নিতে ব্যর্থ হন হালান্ড।
ইনজুরি টাইমে একটি গোল শোধ করেন আল দাখিল। তবে তা বার্নলি হারকে বাঁচাতে যথেষ্ট ছিল না। এর মধ্যদিয়ে লিগে টানা চতুর্থ জয় পেল সিটি, টানা অপরাজিত রইল ছয় ম্যাচে। ২১ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। ২২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে বার্নলি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :