জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মেয়াদ পূর্ণ করা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমনকে নতুন করে আর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।নান্নুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এদিকে নান্নু এবং হাবিবুল বাশার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও নির্বাচক প্যানেলে বহাল রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন হান্নান সরকার।
একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে অধিনায়কের নামও। ক্রিকেট অপারেশন্সের অধীনেই কাজ করে থাকেন জাতীয় দলের নির্বাচকরা। সেই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও নতুন নির্বাচক কে হচ্ছেন সেটি জানতেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
বর্তমানে দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন সুজন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির এই পরিচালক দাবি করেন, নির্বাচক নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার থাকার যৌক্তিকতা নিয়েও।
সুজন বলেন, ‘আমি তো পরিষ্কার করলাম আমি কিছুই জানি না। ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স নির্বাচক নিচ্ছে- কে হচ্ছে। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে।’
বর্তমানে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হওয়া গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্রিকেট মেধা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই সুজনের। তবে তিনি অবাক হয়েছেন এ ব্যাপারে কিছুই না জানায়।
সুজন বলেন, ‘লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দল, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :