ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ শুরুর বহু আগ থেকেই টেস্ট ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধরণ চলে আসছে বলে মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার ক্রিস গেইল। তার মতে, সাম্প্রতিক সময়ের ইংল্যান্ড দল নয়, টেস্ট ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথ দেখিয়েছেন ভিভ রিচাডর্স-ব্রায়ান লারাদের মত কিংবদন্তিরা।
কোচ-অধিনায়ক হিসেবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস জুটি বাঁধার পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ‘বাজবল’ বা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফর্মুলা বেছে নেয় ইংল্যান্ড। ‘বাজবল’-এর ফর্মুলা হলো ম্যাচের প্রথম বল থেকেই প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর চড়াও হওয়া। এই ‘বাজবল’ ফর্মুলায় ইংল্যান্ডের ভাগ্যই বদলে ফেলেন ম্যাককালাম-স্টোকস জুটি। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজের আগে ১৮ টেস্টের মধ্যে ১৩টিতে জয় পেয়েছে ইংলিশরা।
ভারতের বিপক্ষেও ‘বাজবল’ ফর্মুলায় জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু পরের দুই টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ফর্মুলা। ওপেনার যশ্বসি জয়সওয়ালের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে জয় পায় ভারত।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে জয়সওয়ালের টানা দু’টি ডাবল-সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’-এর বড় অবদান আছে বলে মন্তব্য করেছেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট। তিনি বলেন, ‘আপনি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের যখন আগ্রাসী খেলতে দেখবেন, তখন আমরা এ থেকে কৃতিত্ব দাবী করতেই পারি। কেননা তারা অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে।’
ডাকেটের এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিতে ভুল করেননি গেইল। লন্ডনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক গেইল বলেন, ‘আগ্রাসী ক্রিকেট বহু বছর ধরেই চলছে, এমনকি ক্রিস গেইল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার আগ থেকেই।’
গেইল আরও বলেন, ‘আমাদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ভিভ রিচার্ডসের মতো খেলোয়াড় ছিলেন, যারা পথ দেখিয়েছেন। ব্রায়ান লারাও ছিলেন, যারা সব সংস্করণেই আগ্রাসী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। তাদের পরিসংখ্যান যাচাই করলে দেখবেন, কিভাবে ইনিংস গড়েছেন।’
‘ইউনিভার্স বস’-খ্যাত গেইলের মতে, ইংল্যান্ডের কাছ থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং শেখেননি জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না সে (জয়সোয়াল) ইংল্যান্ডের কাছ থেকে শিখেছে। সে তার কোচ ও মেন্টরের (জাওয়ালা সিং) কাছ থেকে এ ধরণের খেলার উন্নতি করেছে। সে দুর্দান্ত। দেখে মনে হয়, ২০ বছর ধরে খেলছে ছেলেটি, অবিশ^াস্য। আমার শুধু প্রত্যাশা এটি সে ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’
জয়সওয়ালকে নিয়ে গেইল আরও বলেন, ‘ ক্যারিয়ারে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার সাথে সাথে তার কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকবে। সে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। টি-টোয়েন্টিতে তাকে এভাবে দেখা যায়। তার ধরনই এমন এবং নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করা উচিত হবে না।’
১৯৯৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ৪৮৩ ম্যাচে ১৯৫৯৩ রান করেছেন ৪৪ বছর বয়সী গেইল।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :