নিষিদ্ধ ষ্টেরয়েড সেবনের কারনে ডোপ টেস্টে গত আগস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন ফরাসি তারকা পল পগবা। এবার ইতালির এন্টি-ডোপিং ট্রাইবুন্যাল তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। পগবার ক্লাব জুভেন্টাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি খুবই হতাশার বলে মন্তব্য করেছেন পগবা। দীর্ঘ এই নিষেধাজ্ঞায় ৩০ বছর বয়সী পগবার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে তাকে প্রাথমিক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ইতালির এন্টি-ডোপিং বডি এ ব্যপারে তাৎক্ষনিক ভাবে কোন মন্তব্য করেনি। গতকাল ট্রাইবুন্যাল এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জুভেন্টাসকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবহিত করেছে।পগবা জানিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সত্যিই খুবই দু:খিত, মর্মাহত, বিষয়টি হৃদয়বিদারক। আমার কাছ থেকে পেশাদার ক্যারিয়ার ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে।’
অভিযোগটি পুরোপুরি ভুল এই দাবী করে পগবার পারফরমেন্স বর্ধক সাবসটেন্স গ্রহণের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন, ‘এন্টি-ডোপিং আইনের ব্যত্যয় ঘটে জেনেও আমি কখনই ইচ্ছে করে কোন ধরনের ষ্টেরয়েড গ্রহণ করিনি। আইনের দিক থেকে আমি নিজেকে স্পষ্ট করতে চাই। আজ আমার বিপক্ষে যে সিদ্ধান্ত জানানো হলো তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিটেশনে আপিল করবো।’
এই নিষেধাজ্ঞার কারনে ২০২৭/২৮ মৌসুম পর্যন্ত পগবা আর খেলতে পারবেন না। ঐ সময়ের মধ্যে তার বয়স হবে ৩৪ বছর।
গত ২০ আগস্ট উদিনেসের বিপক্ষে সিরি-এ লিগে জুভেন্টাসের প্রথম ম্যাচটির পর সাবেক এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছিলেন। আর এর সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় এন্টি-ডোপিং বিভাগ তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এক মাস পর দ্বিতীয় নমুনায়ও তার ষ্টেরয়েড গ্রহনের বিষয়টি প্রমানিত হয়। ঐ সময় তাকে প্রাথমিক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
পগবার প্রতিনিধি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে টেস্টোস্টেরন গ্রহণ করেছিলেন এই মিডফিল্ডার। নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে পারলে এই নিষেধাজ্ঞ দুই বছরে নেমে আসতে পারে। পগবার দাবী তিনি যখন ঔষুধ গ্রহণ করেছিলেন তখন কোন ধরনের প্রতিযোগিতা ছিলনা বিধায় সেটা তার পারফরমেন্স বর্ধক হিসেবে বিবেচিত হবে না।
নিষিদ্ধ হবার আগে পগবা এবারের মৌসুমে জুভেন্টাসের হয় দুটি ম্যাচে বদলী হিসেবে খেলেছেন। ছয় বছর ইউনাইটেডে কাটানোর পর ২০২২ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে জুভেন্টাসে ফিরে আসেন। ২০১৮ বিশ^কাপ জয়ী ফ্রান্স দলের তিনি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন।
ফ্রান্সের জাতীয় দলের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেছেন এই ধরনের কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে পগবা করেছেন বলে তিনি বিশ্বাস করেননা। এক বিবৃতিতে দেশ্যম বলেছেন, ‘পগবার গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা সত্যিই কঠিন ছিল। আমি তার ব্যাথা দেখেছি। নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।’
ফ্রান্সের জাতীয় দলের হয়ে পগবা ৯১ ম্যাচ খেলেছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :