আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪-০-১৯-৩-এর স্পেলে বল করেছেন রশিদ খান। এটি টি-টোয়েন্টিতে একজন আফগান অধিনায়কের সেরা পরিসংখ্যান রেকর্ড। সেই সঙ্গে তিনি ১৪ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
এর আগে নওরোজ মঙ্গল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বের ফাইনালে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০-২৩-৩-এর পরিসংখ্যানের এই রেকর্ড করেছেন। সেটাই ভেঙে দিলেন রশিদ।এর পাশাপাশি রশিদ আরও একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন। প্রথম আফগানিস্তান খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ৩৫০টি আন্তর্জাতিক উইকেট দখল করেছেন।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে আফগানরা। অ্যাডায়ার ও লিটলের দারুণ বোলিংয়ে ১৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রশিদ খানের দল।তবে দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন নবি। ওপেনার সেদিকউল্লাহ আটালকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৬ বলে ৭৮ রান তুলেন এই অলরাউন্ডার। তবে রান আউটে ৩২ বলে ৩৫ রানে সেদিকউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
দলীয় ১০০ রানের পর থামেন নবিও। ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ চার ও ১ ছক্কার ক্যামিওতে ১৫২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান।আইরিশদের হয়ে অ্যাডায়ার তিনটি, লিটল ও ব্যারি ম্যাককার্থি দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আইরিশদের। ৪ ওভারেই ৪৩ রান জড়ো করে ফেলেন দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিং। তবে এর পরই পথ হারায় দলটি। ১৫ বলে ২৪ রানে থাকা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন খারোটে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আইরিশরা। টানা দুই বলে লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টরকে ফেরান রশিদ। বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নবি।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করছিলেন বালবার্নি। তবে শেষ পর্যন্ত হাফ-সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে তিনিও ফিরেছেন। খারোটের বাঁহাতি স্পিনের ফাঁদে পড়ার আগে খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস।
৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল আইরিশরা। তবে হাল ছাড়েননি গ্যারেথ ডেল্যানি। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৫১ রান প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডের। ফজলহক ফারুকির এক ওভারে ৩ ছক্কা ও এক চারে ২২ রান তুলেন ডেল্যানি।
চেষ্টা চালান পরের দুই ওভারেও। তবে একার লড়াইয়ে পেরে উঠেননি তিনি। শেষ ওভারে ১৮ বলে ৩৯ রানে থামে তার ইনিংস। ফলে ১০ রানে পরাজয় দেখে আইরিশরা।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :