পাপুয়া নিউ গিনির মহিলা ক্রিকেট দল ও বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য দুঃসংবাদ, মারা গেলেন পিএনজি মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্য়াপ্টেন কাইয়া আরুয়া। মৃত্যুকালে কাইয়া আরুয়ার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর। অলরাউন্ডার কাইয়া আরুয়ার মৃত্যুর খবরে পূর্ব-এশিয়া প্যাসিফিক ক্রিকেট সম্প্রদায় শোকাহত। ২০১০ সালে, তিনি ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক ট্রফিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। এরপর কেয়া পিএনজি-র হয়ে ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক পাথওয়ে ইভেন্ট এবং প্যাসিফিক গেমস ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন।
কাইয়া আরুয়াকে ২০১৭ সালে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য পিএনজি স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে পিএনজিএর অধিনায়কত্ব করতে দেখা গিয়েছিল। কাইয়া আরুয়ার কাঁধে দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। একই বছর, কাইয়াকে ওমেনস গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াডেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
২০১৯ পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক টি-২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাকে স্থায়ীভাবে পিএনজি-এর অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। কাইয়ার নেতৃত্বে, পিএনজি টুর্নামেন্ট জিতেছিল। কাইয়া আরুয়া অধিনায়কত্বে ২০১৯ আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং ২০২১ মহিলা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল পাপুয়া নিউ গিনি।
যেহেতু পিএনজি অফিসিয়াল টি-টোয়েন্টি দলের মর্যাদা পেয়েছে, কাইয়া আরুয়া ২৯ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাইয়া আরুয়া একজন রিস্ট স্পিনার ছিলেন এবং পিঞ্চ হিটারের ভূমিকাও খুব ভালো ভাবে পালন করতেন। কাইয়া আরুয়া ৫৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন, যা মহিলাদের আন্তর্জাতিকে পিএনজি-এর সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার।
কাইয়া আরুয়া মোট ৪৭ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি ১০.২০ গড়ে ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন, যেখানে ২২.৭৩ গড়ে ৩৪১ রান করেছেন কাইয়া আরুয়া। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কাইয়া আরুয়া তিনবার চার উইকেট এবং দুইবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
জাপানের বিরুদ্ধে চার ওভারে ৫/৭ তার স্পেল ইতিহাসের সেরা বোলিং। এছাড়াও তিনি ৩৪১ রান করেছেন, যেখানে তিনি করেছিলেন ৪৩* এর সেরা স্কোর। আরুয়া শেষবার পিএনজি মহিলাদের হয়ে মাওরি মহিলাদের বিরুদ্ধে এই বছরের জানুয়ারিতে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি প্যাসিফিক কাপে খেলেছিলেন। আরুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
কাইয়া আরুয়াও তার ক্রিকেটের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি একবার প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি তার মেয়েকে তার মায়ের সঙ্গে অন্য প্রদেশে থাকতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমি ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালাম এবং দেখলাম আমাদের বছরে তিন বা চারটি ট্যুর আছে, তখন আমি আমার মেয়ের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনি।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :