রাজস্থান রয়্যালসের জিততে তখন এক রানের প্রয়োজন ছিল। হাতে ছিল ছয় বল। কিন্তু ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে রাজস্থানকে ম্যাচ জেতান জস বাটলার। বাটলারের ঝোড়ো সেঞ্চুরির দাপটে ম্লান হয়ে যায় কোহলির শতরান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ছয় উইকেটের জেতে সঞ্জু স্যামসনের দল। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল রাজস্থান।
শনিবার আরসিবি-র বিরুদ্ধে বাটলার একেবারে বিস্ফোরক মেজাজে ছিলেন। মাত্র ৫৮ বলে অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। তাঁর নিখুঁত ইনিংসের হাত ধরেই আরসিবি-কে হারায় রাজস্থান। আধিপত্য প্রদর্শন করে। সেই সঙ্গে তিনি এই ম্যাচে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ১৫০ ছক্কার মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে তিনি প্রথম ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন বাটলার।
ম্যাচের পর জস বাটলার বলেন, ‘কিছুটা ভাগ্য ছিল। সব সময়ে খুব একটা ভালো টাইমিং হয়নি। তবে যাই মেরেছি বাউন্ডারির ওপারে চলে গিয়েছে। জিততে পেরে খুবই খুশি। আপনি যত ম্যাচই খেলুন না কেন, তবুও খেলতে নামলে একই রকম দুশ্চিন্তা এবং চাপ থেকে যায়। মন খুবই শক্তিশালী একটি জায়গা। সেটা কাজে লাগাতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং সেই সঙ্গে কিছুটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন। কিছু সময়ে জন্য এই বিষয়টি ঠিক আছে। কখনও কখনও নিজেকে বোঝাতে হয় যে, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি আগের ম্যাচে ১৩ করলেও, ভেঙে পড়িনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি সত্যিই ভালো খেলেছি। তাই আগের ম্যাচে ১৩ করার পরে, আমার মনে হয়েছিল যে, একটা বড় ইনিংস দরকার। আমরা এই মরশুমটি খুব ভালো ভাবে শুরু করেছি। আমরা এখন তিন মৌসুম ধরে একসঙ্গে আছি। ভালো করছিও। তবে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং গতি ধরে রাখতে হবে।’
শনিবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগান বিরাট কোহলি। তাঁর শতরানের সৌজন্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু করে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান। জবাবে রাজস্থান ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৮৯ করে ফেলে। জস বাটলারের পাল্টা অপরাজিত শতরানের দাপটে টানা তিন ম্যাচ হারল বেঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে ২০২৪ আইপিএল মৌসুমে টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে উঠে এসেছে রাজস্থান। সেই সঙ্গে এবারের আইপিএলের প্রথম দু`টি শতরান এল একই ম্যাচে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :