অবশেষে দেশের নারী ফুটবলারদের বেতন সমস্যার সমাধান দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে নারী ফুটবলারদের বেতন দিতে পারবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এমনটা আগে সুযোগ ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই এখন থাকবে না বেতন বকেয়া পড়ার শঙ্কা।
বিষয়টি নিয়ে বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, মেয়েদের বেতন চেয়ে ফিফাকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ফিফা বলেছে, তারা বাফুফেকে যে অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে।
এর আগে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে নেপালে স্বাগতিকের হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর থেকে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি তোলো সাবিনা-সানজিদারা।
সেসময় আর্থিক সংকটের কারণ কথা বলে, মেয়েদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করেনি বাফুফে। বেতন বাড়ানোর দাবিতে অনুশীলনও বর্জন করেছিলেন নারী ফুটবলাররা। দাবির মুখে নত স্বীকার করতে বাধ্য হয় বাফুফে।
এরপর গত বছর ১৬ আগস্ট শীর্ষ পর্যায়ের ৩১ ফুটবলারের বেতন বাড়িয়ে চুক্তি করে বাফুফে। যা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয় ৬ মাসের চুক্তিটি। যদিও গত মাসে শেষ হয় সেই চুক্তি।
ফিফার নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এখন আবারো ফুটবলারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে নতুন করে চুক্তি করা হবে। বাড়তে পারে চুক্তিকৃত ফুটবলারের সংখ্যা।
জানা গেছে, বাফুফের নতুন চুক্তিতে যুক্ত হতে পারেন আরো ৩৪-৩৫ জন। তবে বাড়ার সম্ভাবনা নেই টাকার অঙ্ক।
আগের চুক্তি অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকা করে পেতেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ জন ফুটবলার। এছাড়া ৩০ হাজার টাকা করে পেতেন ১০ জন। আর ৪ জন ২০ হাজার ও ২ জন পেতেন ১৮ হাজার করেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :