টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্বরেকর্ড গড়লো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দুই দল- সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।গতরাতে আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে সর্বমোট ৫৪৯ রান হয়েছে। হায়দারাবাদ ২৮৭ ও ব্যাঙ্গালুরু ২৬২ রান করলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ^ রেকর্ডের হয়। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো হায়দারাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। তিন সপ্তাহ আগে হায়দারাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে সর্বমোট ৫২৩ রান উঠেছিলো।
বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে হায়দারাবাদ ২৫ রানে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালুরুকে।
ব্যাঙ্গালুরুর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৮৭ রানের পাহাড় গড়ে হায়দারাবাদ। নিজেদের আগের রেকর্ড ভেঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের নয়া রেকর্ড গড়ে হায়দারাবাদ। এই আসরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিলো হায়দারাবাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হায়দারাবাদের ২৮৭ রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৯টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪১ বলে ১০২ রান করেন হেড। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা আইপিএলে চতুর্থ ও হায়দারাবাদের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি । এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিচ ক্লাসেন ২টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন।
হায়দারাবাদের ইনিংসে ছক্কা হয়েছে ২২টি। আইপিএলের ইনিংসে কোন দলের এক ইনিংসে এটিই সবচেয়ে বেশি ছক্কা। এতে ভেঙ্গে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর রেকর্ড। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২১টি ছক্কা ছিলো ব্যাঙ্গালুরুর।এ ম্যাচে সর্বমোট ছক্কা হয়েছে ৩৮টি। টি-টোয়েন্টিতে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এ আসরেই হায়দারাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে ৩৮টি ছক্কা হয়েছিলো।
সব মিলিয়ে এ ম্যাচে বল সীমানা ছাড়া করেছে ৮১বার। টি-টোয়েন্টিতে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ৮১ বার বল সীমানা স্পর্শ করেছিলো।হায়দারাবাদের ২৮৭ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে ব্যাঙ্গালুরু। টি-টোয়েন্টিতে হেরে যাওয়া দলের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান।
হায়দারাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে সাতটি হাফ-সেঞ্চুরির জুটি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ। ২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ৫টি হাফ-সেঞ্চুরির জুটি হয়েছিলো।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :