রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের মানসিকতার প্রশংসা করেছেন জুড বেলিংহাম। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে মাদ্রিদ। নার্ভাসনেস কাটিয়ে জয়ের মানসিকতা ধরে রাখা একটি দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মাদ্রিদের তরুণ মিডফিল্ডার বেলিংহাম।
মাদ্রিদের হয়ে পেনাল্টিতে নিজের গোল নিশ্চিত করেছেন বেলিংহাম। সিটির বার্নান্ডো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট রুখে দেন মাদ্রিদ গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে চেলসির সাবেক ডিফেন্ডার এন্টোনিও রুডিগারের গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা।
রডরিগোর গোলে ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যাবার পর কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সিটি ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায়।
রিয়াল মিডফিল্ডার বেলিংহাম প্রচন্ড চাপের মধ্যেও নিজেদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার মানসিকতার জন্য কোচ কালো আনচেলত্তিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আনচেলত্তি দলের সবাইকে খেলার স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমরা কেউই তার কাছে বন্দী নই। তিনি আমাদের মধ্যে শান্ত থাকা ও আত্মবিশ্বাস জন্মানোর রসদ যুগিয়েছেন। আমি তাকে হাঁপাতে দেখেছি, ঐ সময় তিনি আমাকে বলেছেন বাইরে গিয়ে তাকে উত্তেজিত করে তুলতে। রিয়াল মাদ্রিদের মত দলে খেলার যে চাপ সেটা সে কখনই আমাদের মধ্যে আনতে দেননি। আজ আমরা সেই মানসিকতারই প্রমান দিয়েছি।’
বেলিংহাম স্বীকার করেছেন সিটি খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তার উপর প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্র হবার পর তাদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাড়তি চাপ তো ছিলই। গত মৌসুমে সেমিফাইনালে এই সিটির কাছে বিদায় নেবার পর এটি একটি মধুর প্রতিশোধও ছিল।
বেলিংহাম আরো বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ব্যপার। ম্যাচে সবাই শতভাগ দেবার চেষ্টা করে। আমি আগেও সিটির বিপক্ষে খেলেছি। সবসময়ই একই ধরনের চাপ অনুভব করি। ম্যাচের শেষভাগে পা আর চলছিল না। এই ধরনের ম্যাচে পুরোটা সময় নিজেকে ধরে রাখা সত্যিই কঠিন। তারা ধারাবাহিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছিল। সিটি যখন এভাবে খেলে তখন বেশীরভাগ দলই খেই হারিয়ে ফেলে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ধরে রেখেছিলাম।’
এদিকে সিটি তারকা রুবেন ডিয়াস টানা দ্বিতীয়বারের মত সিটি ট্রেবল জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা শনিবার এফএ কাপের সেমিফাইনালে চেলসির মোকাবেলা করবে। সিটি ডিফেন্ডার ডিয়াস বলেছেন, ‘আমি জানিনা কি বলতে হবে। বিষয়টি দারুন হতাশার। পুরো ম্যাচে আমরা আধিপত্য দেখিয়েছি। পেনাল্টির আগ পর্যন্ত যা করা প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করেছি। এ ধরনের ম্যাচে পেনাল্টি এড়ানোর জন্য শতভাগ চেষ্টা করতে হয়। আমরাও সেটা চেয়েছিলাম। আমরা বিশ্রামের খুব একটা সুযোগ পাইনি। মৌসুমে এটি একটি ব্যস্ত সময়। কিন্তু এখন নিজেদের আবারো ফিরিয়ে নিয়ে আসাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এখনো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা বাকি আছে, যেখানে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :